ভোরে ‘সাদা প্রাইভেটকার’ থেকে নেমে রাজধানীর ডা. সিরাজুল ইসলাম মেডিক্যাল কলেজে অধ্যয়নরত দুই ভারতীয় শিক্ষার্থীর কাছ থেকে মুখোশধারীরা সর্বস্ব লুটে নেয়।
ওই ঘটনায় ডাকাত দলের সাত সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। গ্রেপ্তাররা হলেন—ফখরুল ইসলাম ফকু, আলমাস, সামুন, আব্দুল্লাহ আল ইউসুফ আহম্মেদ আসিক, শাহিন, বাবু ও শফিকুল ইসলাম।
সেসময় তাদের কাছ থেকে ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত একটি প্রাইভেটকার, দুটি চাপাতি, লুণ্ঠিত একটি ল্যাপটপ ও লুণ্ঠিত একটি মোবাইলসহ ১৮টি মোবাইল, লুণ্ঠিত ৪৩ হাজার ৯৫০ ভারতীয় রুপি ও নগদ তিন হাজার টাকা জব্দ করা হয়।
শুক্রবার ২৮ জানুয়ারি রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা ও কেরানীগঞ্জ এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয় বলে জানিয়েছে ডিবি।
শনিবার ২৯ জানুয়ারি দুপুরে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা জানান ডিবি দক্ষিণের যুগ্ম কমিশনার মো. মাহবুব আলম।
তিনি বলেন, ডা. সিরাজুল ইসলাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের দুই ভারতীয় শিক্ষার্থী শাহীল আহমেদ ও আসিফ ইকবাল মগবাজার এলাকার একটি হোস্টেলে থাকতেন। গত ২৩ জানুয়ারি ভোরে দুই সপ্তাহের ছুটিতে নিজ দেশে যাওয়ার উদ্দেশে হোস্টেল থেকে বের হন তারা। এ সময় গ্রামীণ চেক শো-রুমের সামনে পৌঁছালে একটি সাদা রঙের প্রাইভেটকার তাদের গতিরোধ করে।
যুগ্ম কমিশনার মো. মাহবুব আলম বলেন, এরপর প্রাইভেটকার থেকে অজ্ঞাত মুখোশধারী চার জন তাদের ঘিরে ফেলে। এদের মধ্যে দু’জন ভিকটিমদের গলায় চাপাতি ধরে এবং অপর দুজন তাদের সঙ্গে থাকা একটি ট্রলি ব্যাগ, একটি হ্যান্ডব্যাগ, একটি ল্যাপটপ, দুটি মোবাইল ফোন, ৫৭ হাজার ভারতীয় রুপি, নগদ ৭ হাজার ৬ টাকা ছিনিয়ে নেয়।
এ ঘটনায় গত ২৩ জানুয়ারি রমনা মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়। মামলাটির ছায়া তদন্তের ধারাবাহিকতায় শুক্রবার কেরানীগঞ্জ মডেল থানা ও ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে ডাকাত দলের সাত সদস্যকে গ্রেপ্তার করে ডিবি রমনা বিভাগ।
ডিবির এই কর্মকর্তা বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আসামিরা ডাকাতির ঘটনায় তাদের সংশ্লিষ্টতার কথা স্বীকার করেছেন। গ্রেপ্তারদের বিরুদ্ধে রাজধানীর বিভিন্ন থানায় একাধিক মামলা রয়েছে।