জয়তু শেখ হাসিনা ও উন্নয়নের বাংলাদেশ। বিশ্ব রাজনীতিতে ইতিহাস গড়ে চতুর্থবারের মত সরকার গঠন করলো আওয়ামী লীগ।
একাদশ সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের নেতা কর্মী উন্নয়নের বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে বিজয়ের জন্য সকল মান অভিমান ভুলে মাঠের রাজনীতিতে ছিল সরব। দলনেত্রীর মনোনীত প্রার্থীর পক্ষে কাজ করেছে উনার নির্দেশমত। ভোটের বিজয়, মন্ত্রিপরিষদ গঠন শেষে এখন কাজ করে দেশকে এগিয়ে নেয়ার পালা।
আর সে কারণে চলমান মেগা প্রকল্পের কার্যক্রমের পাশাপাশি দুর্নীতি সন্ত্রাস আর মাদকমুক্ত দেশ গড়তে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ আওয়ামী সরকার। সে সাথে দলের বিশাল বিজয় প্রতিজ্ঞা পূরণে কাজ করতে আরও বেশি দায়িত্বভার চাপিয়ে দিয়েছে সরকারকে।
কিন্তু দুঃখজনক হলেও যে ঘটনাটি ঘটে তা হলো, ভোটের পর নেতারা তৃণমূলের কর্মী আর জনগণের তেমন করে খবর রাখে না। মাঠের রাজনীতিতে পাওয়া যায় না নির্বাচিত প্রতিনিধিদের। কালে কালে হচ্ছে এ কাজটি।
তবে রাজনীতির আমূল পরির্বতন করতে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। সে ধারাবাহিকতাতে সাংসদগণ এলাকার দলীয় কর্মী আর জনগণের আপনজন হয়ে থাকবেন সে প্রত্যাশা সকলের। এলাকার উন্নয়ন দিয়েই দেশের উন্নয়ন হবে এটাই চায় জনগণ। নির্বাচনকালীন সময়ে সাংসদের হালখাতার হিসাবটা যে উঠে আসে তা জনগণের চাওয়া পাওয়াতে সুস্পষ্ট হয়। তবে ক্ষমতায় থাকাকালীন সময়ে এ হিসাবের তোয়াক্কা করে না জনপ্রতিনিধিরা। তারা ব্যতিব্যস্ত হয়ে পড়ে জাতীয় রাজনীতিসহ নিজস্ব কর্মকাণ্ড নিয়ে। আবার তাদের ঘিরে থাকে কিছু স্থানীয় নেতা-কর্মী। এ অবস্থায় স্থানীয় নেতাদের সীমানা প্রাচীর ভেদ করে সাধারণ দলীয় কর্মী আর জনগণ পৌঁছাতে পারে না তাদেরই শ্রমে আর ভোটে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধির কাছে।
তবে এবারের সাংসদদের নিয়ে নতুন কিছু ভাবনা আর আশা রয়েছে মানুষের। আর এ আশা জাগিয়েছে দলীয় প্রধান শেখ হাসিনা। বিশেষ করে দলের সাধারণ কর্মীরা চায় নির্বাচনকালীন সময়ের মত নেতার কাছে তাদের যাবার সুযোগ থাকবে। সাংসদের কাছে সঠিক মূল্যায়নের মাধ্যমে এলাকার সমস্যা সমাধানই হবে মূল বিবেচ্য বিষয়। তবেই জনবান্ধব জনপ্রতিনিধি আগামীর বাংলাদেশে উন্নয়ন ও গনতন্ত্রের আর্দশ প্রতীক হিসাবে প্রতীয়মান হবে সন্দেহাতীতভাবে।
(এ বিভাগে প্রকাশিত মতামত লেখকের নিজস্ব। চ্যানেল আই অনলাইন এবং চ্যানেল আই-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে প্রকাশিত মতামত সামঞ্জস্যপূর্ণ নাও হতে পারে।)