কেন্দ্র দখল, ভোটে কারচুপি ও সমর্থকদের মারধরসহ নানা অভিযোগে নির্বাচন বর্জন করেছেন বিএনপি-ঐক্যফ্রন্ট মনোনীত একাধিক প্রার্থী। নির্বাচন বর্জনকারীদের মধ্যে আছেন কক্সবাজার, নাটোর, সাতক্ষীরা আসনের প্রার্থী।
কক্সবাজার-২ দখল,মারধরসহ নানা অভিযোগে কক্সবাজার-২ (মহেশখালী-কুতুবদিয়া) আসনে নির্বাচন বর্জন করেছেন জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট মনোনীত প্রার্থী এএইচএম হামিদুর রহমান আযাদ। হামিদ আযাদের প্রধান এজেন্ট জাকের হোসাইন ৩০ ডিসেম্বর দুপুর সাড়ে ১২টায় এক সংবাদ সম্মেলন করে নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দেন।
জাকের হোসাইন গণমাধ্যমকে জানান, ভোটের আগের রাত থেকে অধিকাংশ ভোটকেন্দ্রে ব্যালটে সিল মারা হয়েছে। ভোটের দিন সকালেও কেন্দ্র দখল করে ভোট কেটে নেয়া হয়। আতঙ্ক সৃষ্টি করতে চারটি ভোটকেন্দ্রে ফাঁকা গুলিবর্ষণ করেছে সরকারদলীয় লোকজন। অনেক ভোটারকে বেছে বেছে লাইন থেকে বের করে দেয়া হয়।
তার অভিযোগ ভোটের দিন অধিকাংশ কেন্দ্রে ৪০-৬০ শতাংশ নৌকা প্রতীকের ব্যালটে সিল মেরে বাক্স ভর্তি করে। আপেল প্রতীকের এজেন্টদের বের করে দেওয়া হয়। কোন কোন কেন্দ্রে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়। প্রশাসনের কাছে প্রতিকার চেয়ে প্রতিকার না পাওয়া প্রকাশ্যে ছাত্রলীগ ও পুলিশের যৌথ বাহিনী গঠন করে নৌকা প্রতীকে সিল মারে।
নাটোর
নির্বাচনী পরিবেশ না থাকার অভিযোগ এনে নাটোরের তিনটি আসনে বিএনপি ও জাতীয় পার্টি প্রার্থী ভোট বর্জন করেছে। রোববার বিকেল ৩টায় তারা পৃথক পৃথক সংবাদ সম্মেলন করে এই ভোট বর্জন করে।
ভোট বর্জন হওয়া আসন গুলো হচ্ছে, নাটোর-১ (লালপুর-বাগাতিপাড়া) আসনের বিএনপি প্রার্থী কামরুন্নাহার শিরিন, নাটোর-২ আসনে সাবিনা ইয়াসমিন ছবি, নাটোর-৩ আসনে দাউদার মাহমুদ ভোট বর্জন করেন। এছাড়া, নাটোর-২ আসনের জাতীয় পার্টির প্রার্থী দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য মজিবুর রহমান সেন্টু ভোট বর্জন করেছেন। দুপুরে নাটোর জেলা জাপা কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ ঘোষণা দেন ।
নাটোর-২ আসনে বিএনপির ভোট বর্জন বিষয়ে আওয়ামীলীগের প্রার্থী শফিকুল ইসলাম শিমুল বলেন, জনগণ তাদের প্রত্যাখ্যান করেছে। এখন লজ্জা ঢাকতে বিএনপি এই ভোট বর্জনের নাটক করছে।
সাতক্ষীরা-৪
৩০ ডিসেম্বর রোববার বেলা ১২টার দিকে ভোট বর্জন করেন সাতক্ষীরা-৪ আসনের ধানের শীষের প্রার্থী জামায়াত নেতা গাজী নজরুল ইসলাম। তিনি জেলে থাকায় বিষয়টি নিশ্চিত করেন জামায়াতের উপজেলা আমীর অধ্যাপক আব্দুল জলিল।
আবদুল জলিল জানান, আমাদের সমর্থকদের ভোট কেন্দ্রে যেতে দেওয়া হচ্ছে না। রাতেই জাল ভোট দিয়ে ব্যালট বাক্স ভর্তি করা হয়েছে। এখন ভোট কেন্দ্র দখল করে সেখানে কাউকে যেতে দেওয়া হচ্ছে না। এজন্য আমরা ভোট বর্জনের সিদ্ধান্ত নিয়েছি।