গাজীপুরে সিটি করপোরেশন নির্বাচনে নির্বাচনী পরিবেশ নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন সতন্ত্র প্রার্থী জায়েদা খাতুন। সময় তিনি জয়ের ব্যাপারে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন।
বৃহস্পতিবার গাজীপুর চান্দনা উচ্চ বিদ্যালয়ে ভোটের পরিবেশ পরিদর্শনকালে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
জায়েদা খাতুন বলেন: সকাল ৮টা থেকে শুরু হওয়া ভোট নিয়ে এখন পর্যন্ত আমার কোনো অভিযোগ নেই। নির্বাচন সুষ্ঠুভাবেই পরিচালিত হচ্ছে বলে মনে হচ্ছে।
জয়ের বিষয়ে কতটা আশাবাদী এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন: এখন পর্যন্ত যেভাবে নির্বাচন প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে, এতে আমি জয়ের ব্যাপারে আশাবাদী।
এর আগে সকাল ৮টায় ভোট গ্রহণ শুরু হয়। ভোট গ্রহণ শুরুর দু’ঘন্টা আগ থেকেই ভোটাররা ভোট কেন্দ্রের সামনে দীর্ঘ লাইন দিয়ে অপেক্ষা করতে দেখা গেছে।
ভোট গ্রহণ চলবে টানা বিকাল ৪টা পর্যন্ত৷ এবারের পুরো ভোট গ্রহণ হবে ইলেক্ট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম)।
সকাল ৬টায় ভোট দেওয়ার জন্য দাঁড়ানোর কারণ হিসেবে ভোটাররা জানিয়েছেন: তাদের কাজ থাকায় সকাল সকাল ভোট দিতে এসেছেন। পরে যেন ভোগান্তিতে পড়তে না হয়, সে বিষয়টি এড়াতেই সকাল সকাল এ উপস্থিতি।
গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ১৯টি সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর আসনে ৭৮ জন এবং ৫৭টি ওয়ার্ডের সাধারণ কাউন্সিলর পদের ২৪৩ জন সহ মোট ৩২৯ জন প্রার্থী নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
রিটার্নিং অফিস সূত্রে জানা গেছে, গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য মিলিয়ে প্রায় ২০ হাজার সদস্য নির্বাচনী কাজে নিয়োজিত রয়েছে। নির্বাচনে একজন মেয়র, ৫৭টি সাধারণ ওয়ার্ডে ৫৭ জন সাধারণ কাউন্সিলর ও ১৯টি সংরক্ষিত ওয়ার্ডে ১৯ জন নারী কাউন্সিলর নির্বাচিত হবে। অবশ্য এদের মধ্যে একজন সাধারণ কাউন্সিলর বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন। নির্বাচনী এলাকার ৪৮০টি ভোটকেন্দ্রে তিন হাজার ৪শ ৯৭টি ভোট কক্ষ থাকবে। সিটি করপোরেশনের ১১ লাখ ৭৯ হাজার ৪শ ৬৩ জন ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন।
এদের মধ্যে পুরুষ পাঁচ লাখ ৯২ হাজার ৭শ ৪৭ জন, নারী ভোটার পাঁচ লাখ ৮৬ হাজার ৬শ ৯৮ এবং ১৮ জন তৃতীয় লিঙ্গের ভোটার রয়েছে। নির্বাচনে ১০ হাজার ৯শ ৭১ জন ভোট গ্রহণ কর্মকর্তা দায়িত্ব পালন করবেন। এর মধ্যে ৪শ ৮০ জন প্রিসাইডিং অফিসার, তিন হাজার ৪শ ৯৭ জন সহকারী প্রিসাইডিং অফিসার এবং ছয় হাজার ৯শ ৯৪ জন পোলিং অফিসার। সিটি এলাকার ৩শ ৩৩টি প্রতিষ্ঠানে ৪শ ৮০টি ভোটকেন্দ্র স্থাপন করার জন্য নির্ধারণ করা হয়েছে। এর মধ্যে ৯৪টি প্রতিষ্ঠানে ২টি করে ভোটকেন্দ্র, ১৬টি প্রতিষ্ঠানে তিনটি করে ভোটকেন্দ্র, ৯টি প্রতিষ্ঠানে চারটি করে ভোটকেন্দ্র এবং একটি প্রতিষ্ঠানে ভোটকেন্দ্র আছে।