ল্যাটিন আমেরিকার দেশ ভেনেজুয়েলার সরকার বিরোধীদের সঙ্গে আবারো পুলিশের ব্যাপক সংঘর্ষ হয়েছে। রাজধানী কারকাসসহ কয়েকটি শহরে রক্ষক্ষয়ী এই সংঘর্ষে আহত হয়েছেন শতাধিক মানুষ। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত একজন নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
নতুন সংবিধান তৈরির প্রস্তাব দিয়ে ৫শ’ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করার পর নতুন করে আবারো সরকারবিরোধী বিক্ষোভে ফুঁসে উঠেছে ভেনেজুয়েলা। প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরোর বিরোধীরা আগাম নির্বাচনের দাবিতে রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভে নেমেছেন।
বুধবার রাজধানীতে সংসদ অভিমুখে শান্তিপূর্ণ সমাবেশের প্রস্তুতি নিচ্ছিল সরকার বিরোধীরা। এরই মধ্যে মাস্ক পরিহিত যুবকরা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ শুরু করে। পুলিশ জনতাকে ছত্রভঙ্গ করতে জল কামান, কাঁদানে গ্যাস ও রাবার বুলেট ব্যবহার করে। শুরু হয় দুপক্ষের তুমুল সংঘর্ষ।
গত এক মাসের সরকারবিরোধী বিক্ষোভে দেশটিতে কমপক্ষে ৩০ জন নিহত হয়েছে। দফায় দফায় বিক্ষোভে রাজধানী কারাকাস স্থবির হয়ে পড়েছে।
মাদুরোর দাবি, বিদেশি শক্তির সঙ্গে ষড়যন্ত্র করে তাকে উৎখাতের চেষ্টা চলছে। আর তাই সেটি প্রতিরোধে নতুন সংবিধান প্রণয়নের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।
অবশ্য বিরোধী দলীয় নেতা হেনরিক কাপ্রিলাস বলছেন, নির্বাচন যেন না হয়, সেটাই তার ঘোষণার মূল উদ্দেশ্য। মাদুরোর এই উদ্দেশ্য প্রতিহত করতে বিক্ষোভকারীরা ভেনেজুয়েলার রাস্তাতেই থাকবে বলে ঘোষণা দেন তিনি।
ভেনেজুয়েলায় গত কয়েক বছর ধরেই ভয়াবহ খাদ্যাভাব এবং মুদ্রাস্ফীতি চলছে। আর সেজন্য প্রেসিডেন্ট মাদুরোকে দায়ী করে বিরোধী দলগুলো।