বিশ্বে ৬০ কোটি এবং দেশে ৪৫ লাখ মানুষ স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে রয়েছে বলে জানিয়েছে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ‘নিরাপদ খাদ্য ও ভোগ্যপণ্য আন্দোলন বাংলাদেশ’।
সেই সঙ্গে সংগঠনটি দাবি করেছে: ভেজাল খাদ্যের কারণে শুধুমাত্র অসংক্রমিত রোগে এখন পর্যন্ত ৪ লক্ষাধিক মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন। এজন্য জনস্বাস্থ্যের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে নিরাপদ খাবার তৈরি এবং বিক্রয়ের ক্ষেত্রে নিরাপদ খাদ্য আইন বাস্তবায়ন জরুরি।
বুধবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে খাদ্যে ফরমালিন, সোডিয়ামসহ বিভিন্ন ধরনের রাসায়নিক দ্রব্য ব্যবহার ও ভেজাল খাদ্য বাজারজাতকরণের প্রতিবাদে আয়োজিত এক মানববন্ধন থেকে এসব কথা বলেন সংগঠনটির নেতারা।
এসময় আসন্ন রমজানে সকল খাদ্যদ্রব্য ও ভোগ্যপণ্য ভেজালমুক্ত রাখতে ‘নিরাপদ খাদ্য আইন-২০১৩’ ও ‘ফরমালিন নিয়ন্ত্রণ আইন ২০১৫’ অবিলম্বে বাস্তববায়নের দাবি জানিয়ে ব্যারিস্টার জাকির হোসেন এসময় বলেন: সিয়াম সাধনার মাস রমজানে জনস্বাস্থ্যের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে সরকারকে কঠোরভাবে প্রণীত আইনের যথাযথ প্রয়োগ করতে হবে।
ব্যারিস্টার জাকির বলেন: দেশের প্রায় সকল ভোগ্যপণ্যের মধ্যে ভেজাল ঢুকে গেছে। অধিক লাভের আশায় অধিকাংশ ব্যবসায়ী ও উৎপাদকরা খাদ্যে ভেজাল মেশাচ্ছে। শক্ত হাতে এগুলো প্রতিরোধ করা সম্ভব না হওয়ায় তা এখন ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। বর্তমানে ছোট বড় সকল খাবার দোকানে ভেজাল পাওয়া মিলছে। কিন্তু সে তুলনায় আইনের বাস্তবায়ন খুবই নগন্য।
অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত থেকে বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি-বাংলাদেশ ন্যাপ মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভূইয়া বলেন: বাংলাদেশসহ দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়াতে দূষিত খাবার খেয়ে প্রায় ১৫ কোটি মানুষ অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। এরমধ্যে মধ্যে প্রায় দুই লাখ মানুষ মারা গেছেন। বাংলাদেশে ৪৫ লাখ মানুষ ভেজাল খাবার খেয়ে স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে রয়েছেন।
মানববন্ধন থেকে বলা হয়: স্বাস্থ্য অধিদফতরের তথ্যানুযায়ী দেশে বর্তমানে শতকরা ১৬ ভাগ মানুষ কিডনি রোগে আক্রান্ত। রাসায়নিক মেশানো খাবার খেয়ে কিডনি রোগীর সংখ্যা দিনদিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। এর অন্যতম কারণ খাবারে ভেজাল। মৌসুমী ফলেও রাসায়নিক প্রয়োগ করা হচ্ছে দেদারছে।