খাদ্যে ভেজাল ও ফলমূলে ক্ষতিকর রাসায়নিক ব্যবহারের ভয়াবহতার ফলে দেশের মানুষের আজ স্বাস্থ্যের নিরাপত্তা নেই বলে উল্লেখ করেছেন হাইকোর্ট।
আমসহ অন্যান্য ফলে ক্ষতিকর রাসায়নিকের প্রয়োগ ঠেকানো সংক্রান্ত বিএসটিআই’র প্রতিবেদনের উপর শুনানিতে মঙ্গলবার বিচারপতি এফ আর এম নাজমুল আহাসান ও বিচারপতি কে এম কামরুল কাদেরের হাইকোর্ট বেঞ্চ একথা বলেন।
এসময় আদালত বলেন: খাদ্যে ভেজাল ও ফলমূলে ক্ষতিকর রাসায়নিকের ব্যবহারের কারণে আজ দেশের মানুষের স্বাস্থ্যের নিরাপত্তা নেই। ভেজাল এমন একটা পর্যায়ে চলে যাচ্ছে যে বাঁচার উপায় থাকছে না।
এসময় আদালত বিএসটিআই’র আইনজীবীকে উদ্দেশ্য করে বলেন: ভেজালের বিরুদ্ধে আপনাদের কঠোর হতে হবে। ভেজাল খাদ্য গ্রহণের ফলে হাসপাতালে কিডনিসহ বিভিন্ন রোগীর ভীড় বাড়ছে। আমার আপনার সকলের ছেলেমেয়েদের ভবিষ্যতের কথা ভেবেই ভেজাল পণ্যের বিরুদ্ধে সোচ্চার হতে হবে।
ক্ষতিকর রাসায়নিকের প্রয়োগ রোধে হিউম্যান রাইটস পিস ফর বাংলাদেশের করা একটি রিট আবেদনের প্রেক্ষিতে হাইকোর্ট ২০১২ সালের ২৯ ফেব্রুয়ারি রায় দেয়। সেই সাথে এ রিট মামলাটি চলমান রাখা হয়।
এরই মধ্যে এবারের আমের মৌসুম সামনে রেখে মানবাধিকার সংগঠন হিউম্যান রাইটস পিস ফর বাংলাদেশের ওই রিটে একটি আবেদন করার পর গত ৯ এপ্রিল ক্ষতিকর রাসায়নিকের প্রয়োগ ঠেকাতে রাজশাহীসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের বড় আম বাগানগুলোতে পুলিশ মোতায়েনের নির্দেশ দেন হাইকোর্ট।
পাশাপাশি ফলের বাজার ও আড়তগুলোতে আমসহ অন্যান্য ফলে রাসায়নিকের প্রয়োগ ঠেকাতে নজরদারী কমিটি গঠনের নির্দেশ দেয়া হয় এবং সে বিষয়ে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়। সে অনুযায়ী আজ বিএসটিআই এবং সরকারের পক্ষ থেকে দুইটি প্রতিবেদন দাখিল করা হলে আদালত তাদের কর্মকাণ্ড নিয়ে আরও সবিস্তারে তুলে ধরে রোববার আদালতে প্রতিবেদন দিতে আদেশ দেন।
আজ আদালতে বিএসটিআই’র পক্ষে ছিলেন আইনজীবী সরকার এম আর হাসান। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ বি এম আব্দুল্লাহ আল বাশার। আর রিটকারী পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মনজিল মোরসেদ।