মূলত বেশি খরচের কারণে বিশ্বের বেশিরভাগ দেশগুলো বিল্ডিংয়ে ভূমিকম্প
সতর্কবার্তার প্রয়োজনীয় বৈজ্ঞানিক পর্যবেক্ষণ নেটওয়ার্ক ব্যবহার করে
না। ফলে সস্তা ভূমিকম্প সতর্কতা ব্যবস্থার খোঁজ করছিলেন বিজ্ঞানীরা।
স্মার্টফোন আবিস্কারের পর সেটা হয়তো পেয়েও গেছেন তারা। আগামীতে ভূমিকম্পের
পূর্বাভাস জানাবে স্মার্টফোন তেমনটাই বলছেন বিজ্ঞানীরা।
আমেরিকান সায়েন্স জার্নাল অ্যাডভান্সে কয়েকজন বিজ্ঞানী লিখেছেন, দ্য গ্লোবাল পজিসনিং সিস্টেম(জিপিএস)-এ স্মার্টফোনের মাধ্যমে শক্তিশালী ভূমিকম্পের আগেই তার পূর্বাভাস পাওয়া যাবে। বিশ্বের মাত্র দুটি অঞ্চলে ভূমিকম্পের পূর্বাভাস পাওয়ার বৈজ্ঞানিক পর্যবেক্ষণ নেটওয়ার্ক আছে। যার একটি জাপানে। অন্যটি মেক্সিকোয়।
জাপানের সুনামি ও হাইতির ভূমিকম্পের পর মানুষ আর সম্পদ রক্ষার তাগিদে ভূমিকম্পের পূর্বাভাস নিয়ে গবেষণা করছেন বিজ্ঞানীরা। তারা মেট্রোপলিটন এলাকায় ৫’শ স্মার্টফোনের ডাটা গবেষণা করে দেখেছেন জীবন ও সম্পদ রক্ষার জন্যে এর গতি যথেষ্ঠ।
গবেষকরা বলছেন, স্মার্টফোন ব্যবহারকারীরা এসএমএস অথবা কলের মাধ্যমে ভূমিকম্পের পূর্বাভস পাবেন।
মার্কিন উন্নয়ন সংস্থা ইউএসএইড স্মার্টফোনে ভূমিকম্পের পূর্বাভাস পাওয়ার পাইলট প্রকল্প নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা শুরু করেছে।