সোমবার ভোররাতে ৬.৭ মাত্রার ভূমিকম্পের কাঁপন লেগেছে ফেসবুকেও। সবাই নানানভাবে নিজের অভিজ্ঞতা আর অনুভূতি ফেসবুকে শেয়ার করছেন।
ফেসবুকে ভূমিকম্প নিয়ে পোস্ট দিলেন প্রবাসী সাংবাদিক সওগাত আলী সাগর। পোস্টে তিনি লিখেছেন, ‘বাংলাদেশে ভূমিকম্পটা বেশ ঘন ঘনই হচ্ছে। এর ভালো দিক হচ্ছে- নাগরিকদের মধ্যে এক ধরনের রিহার্সাল বা প্রস্তুতি তৈরি হচ্ছে। আর খারাপ দিক হচ্ছে- নাগরিকরা ক্রমশ এতে অভ্যস্ত হয়ে উঠবেন।’
এরপর রাজনীতিবিদদের কথা টেনে তিনি লিখেন, ‘রাজনীতিকদের অবশ্য এ নিয়ে সুবিধা বা অসুবিধা কোনোটাই নাই। ‘আর দশটা সামাজিক- রাজনৈতিক ইস্যুর মতোই’ ভূমিকম্পও একটি ক্ষণস্থায়ী ইস্যু- এই ভাবনাটাই সম্ভবত তাদের মধ্যে কাজ করে থাকবে। এতে সুবিধা হলো- ভূমিকম্প নিয়ে কোনো ধরনের প্ল্যান পরিকল্পনার দরকার হবে না।
আচ্ছা, গত ভূমিকম্পের পর থেকে এই পর্যন্ত পলিসি লেভেলে এ নিয়ে কোনো কাজ হয়েছে কি? মিডিয়া অবশ্য নানা কাজে ব্যস্ত, এইসব নিয়ে খোঁজখবর করার সময় তাদের হাতে এই মুহূর্তে নেই। তারা খানিকটা অবসর পেলে হয়তোবা এই ব্যাপারে আপডেট জানা যাবে। তার আগ পর্যন্ত ….. থাক।’
ভূমিকম্পের পর নানান জনের ফেসবুক স্ট্যাটাস নিয়েও লিখেন সওগাত আলী সাগর। তিনি লিখেন, ‘তবে ফেসবুক যে নাগরিকদের কতো বড় আশ্রয় তা আবারো টের পাওয়া গেলো। মিনিট-সেকেন্ডের টাইম মিলিয়ে দেখা গেছে- ঠিক ভূমিকম্পের সময়টাতেও অনেকে ফেসবুকে পোষ্ট দিয়েছেন। আর ভূমিকম্পের পরে তো প্রায় সবাই ফেসবুকেই ঝাঁপিয়ে পড়েছেন। ‘জীবন মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে’- এমন একটা বোধ থেকে ফিরে এসে সবাই যেন প্রিয়তম ফেসবুকের বুকেই মুখ গুজে দিয়েছেন।’
মন্ত্রী-এমপিদের বিষয়ে সাওগাত আলী লিখেছেন, ‘আচ্ছা, ঢাকায় যখন ভূমিকম্প হয়- তখন আমাদের মন্ত্রীরা কি করছিলেন? না, মানে- তারাও কি দৌড়ে রাস্তায় নেমে এসেছিলেন? ‘নিশ্চিদ্র নিরাপত্তা বেষ্টনী ভেদ করে ভূমিকম্প মন্ত্রী পাড়ায় প্রবেশ করতে পারবে না’- এমন ভাবনা নিশ্চয়ই তারা ভাবেননি।
ভূমিকম্পের ঝাঁকুনিটা খানিকটা হলেও তাদের উপর দিয়ে গেলে হয়তোবা তাদের ‘ব্রেনে’ খানিকটা ঝাঁকুনি লাগতেও পারে।’