ভুয়া সন্দেহে সাময়িক বন্ধ হওয়া ফেসবুক অ্যাকাউন্টগুলো আবার ফিরে পাচ্ছে ব্যবহারকারীরা। তবে কিভাবে অ্যাকাউন্ট আবার সচল হলো এব্যাপারে নিশ্চিত করে কিছু বলতে পারছেন না তারা।
কেউ জানিয়েছেন, জাতীয় পরিচয়পত্রের স্ক্যান কপি দিয়ে আপিল করে ফেরত পেয়েছেন। আবার কেউ বলছেন, বন্ধ হওয়ার আগেই জাতীয় পরিচয়পত্র, মোবাইল নম্বরের তথ্য দেয়া ছিলো নিজের অ্যাকাউন্টে।
১১ দিন পর জনপ্রিয় ফেসবুকে আবার নিজের সুপরিচিত অ্যাকাউন্টে ফিরতে পেরে স্ট্যাটাসে মিশ্র অনুভূতির জানান দিচ্ছেন অনেকেই।
গণমাধ্যমকর্মী আরেফীন ফয়সল নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্ট ফিরে পাওয়ার খবর জানিয়ে স্ট্যাটাসে লিখেছেন ‘আইডি অ্যাক্টিভ হয়েছে আবার’।
একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত আলাল আহমেদ হারানো আইডি ফেরত পেয়ে রসিকতা একটি গ্রুপ পোস্টে লিখেছেন, ‘আপনাদের দোয়ায় কোনো এক গায়েবি কায়দায় আমার ফেসবুক ফেরত আসছে। সবার আগে গ্রুপে ঢুকলাম। ঈদে বাড়ি ফেরার মত আনন্দ হচ্ছে’।
গত ১৫ এপ্রিল বিনা নোটিশে নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্টটি অচল পেয়ে অনেকেই বিপাকে পড়েছিলেন। বিশেষ করে অনেক মানুষের সঙ্গে ফেসবুকে যোগাযোগ রাখতেন যারা, তাদের বিড়ম্বনাটা ছিলো বেশি। তাদের কেউ কেউ হতাশ হয়ে বর্তমানের অনলাইন নির্ভর সামাজিক যোগাযোগ চালিয়ে যেতে নতুন অ্যাকাউন্ট খুলতে বাধ্য হয়েছিলেন।
সেরকম মানুষদের একজন গণমাধ্যম ও উন্নয়ন সাংবাদিক আদিত্য শাহীন।
ফেসবুকে আগের অ্যাকাউন্টে ফিরতে পেরেই এক স্ট্যাটাসে জানিয়েছেন ফেরা-না ফেরার অনুভূতি। তিনি লিখেছেন, ‘মনে হচ্ছে কয়েকদিন নিরপরাধ হাজতবাসের পর ছাড়া পেয়েছেন অনেকেই। সউল্লাসে ঘোষণা করছেন আইডি ফেরত পেয়েছি। কল্পনায় আমি ছুটে গিয়ে তাদেরকে জড়িয়ে ধরে বলছি: আয় আমার বুকে আয়…।’এ বিষয়ে কয়েকদিন আগে ফেসবুক বলেছে, নিরাপত্তা ব্যবস্থা উন্নত করতে ভুয়া অ্যাকাউন্ট বন্ধ শুরু হয়েছে। একই ধরনের পোস্ট বারবার দেয়া, একই লিংক বার বার শেয়ার করা, পর্ন ওয়েবসাইটের লিংক, ছবি ও ভিডিও শেয়ার ইত্যাদি বিষয়গুলো বিশ্লেষণ করে ভুয়া আইডিগুলো চিহ্নিত করে সেগুলো বন্ধ করা হচ্ছে।
এরকম ভুয়া আইডিগুলোর উপর বিশেষ নজর রাখা হবে বলেও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমটি জানিয়েছে।
বৃহস্পতিবার ফেসবুকের পক্ষ থেকে জানানো হয়, নিরাপত্তা ব্যবস্থা উন্নত করতে ভুয়া অ্যাকাউন্টগুলো চিহ্নিত করে সেগুলো বন্ধ করে দেয়া হবে। পূর্বঘোষণা অনুযায়ী নিরাপত্তা ব্যবস্থা উন্নত করতে ভুল তথ্য, ভুয়া খবর ঠেকানোর অংশ হিসেবে আইডিগুলো বন্ধ করা হচ্ছে। এছাড়া আরো কিছু আইডি চিহ্নিত করা হচ্ছে।
মূলত সাধারণ ব্যবহারকারীদের বিভ্রান্ত করতে ভুয়া অ্যাকাউন্টগুলো ব্যবহার করা হয়ে থাকে। এর হাত থেকে মুক্তি দিতেই ফেসবুকের নতুন এই পদক্ষেপ।