যুক্তরাষ্ট্রের আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থার (ইউএসএআইডি) মিশন ডিরেক্টর ক্যাথরিন স্টিভেন্স বলেছেন, চিরায়ত সংবাদ মাধ্যম কিংবা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম-উভয় ক্ষেত্রে ভুল তথ্য ছড়ানোর প্রবণতা বাড়ছে। এ কারণে এই মুহূর্তে মিডিয়ার গুরুত্ব আগের চেয়ে অনেক বেশি।
বুধবার ২৯ সেপ্টেম্বর ডিপ্লোম্যাটিক করেসপন্ডেন্টস অ্যাসোসিয়েশন বাংলাদেশ (ডিকাব) আয়োজিত কর্মশালায় তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘জনগণের উন্নয়নের স্বার্থে বিশ্বস্ত সূত্রের খবর এবং সঠিক তথ্য খুবই প্রয়োজনীয় এবং এই বিষয়ে বাংলাদেশি রিপোর্টারদের প্রতি রয়েছে ইউএসএআইডি’র পূর্ণ সমর্থন ও সহযোগিতা।’
কর্মশালার বিষয়বস্তু ছিল রিপোর্টিংয়ের ক্ষেত্রে গঠনমূলক উন্নয়ন এবং তথ্যবিভ্রাটের ক্ষেত্রে সতর্কতা।
এসময় বাংলাদেশের সাবেক পররাষ্ট্র সচিব তৌহিদ হোসাইন, গ্লোবাল ইনভেস্টিগেটিভ জার্নালিজম নেটওয়ার্কের রোভিং এশিয়া এডিটর মিরাজ আহমেদ চৌধুরী, যুক্তরাষ্ট্র-ভিত্তিক মিডিয়া ফ্যাক্টচেকিং প্রতিষ্ঠান পলিটিফ্যাক্টের নির্বাহী পরিচালক অ্যারন শ্যারকম্যান এবং ডিকাব সভাপতি পান্থ রহমান বক্তব্য দেন।
সাম্প্রতিক সময়ের ডিজিটাল ও সামাজিক মাধ্যমের প্রেক্ষাপটে গঠনমূলক প্রতিবেদন এবং তথ্যবিভ্রাট নিরসনে মিডিয়ার ভূমিকা নিয়ে বক্তারা আলোচনা করেন। অংশগ্রহণকারী রিপোর্টাররা বাংলাদেশের মিডিয়ার বিভিন্ন ইস্যু, চ্যালেঞ্জ, সুযোগ, এবং তথ্যবিভ্রাট নিরসনের মাধ্যমে জনকল্যাণে মিডিয়ার ভূমিকা নিয়ে আলোচনা করেন।
এসকল কর্মশালা স্বাস্থ্য, কৃষি, জলবায়ু পরিবর্তন এবং অন্যান্য ইস্যুতে বাংলাদেশী সাংবাদিকদের বোঝাপড়া বাড়াতে সহযোগিতা করবে বলে ইউএসএআইডি মনে করে।
বাংলাদেশের স্বাধীনতার পর থেকে ইউএসএআইডি’র মাধ্যমে এ পর্যন্ত বাংলাদেশকে আট বিলিয়ন ডলারেরও অধিক উন্নয়নমূলক সহযোগিতা প্রদান করেছে মার্কিন সরকার। শুধু গত বছরেই, কোভিড-১৯ মহামারি প্রতিরোধ, খাদ্য নিরাপত্তা, গণতন্ত্র, এবং পরিবেশ ও জলবায়ু রক্ষা’র মতো ইস্যুতে বাংলাদেশের জনগণের জীবনযাত্রার মানোন্নয়নে ইউএসএআইডি ২০০ মিলিয়ন ডলারের অধিক সাহায্য প্রদান করেছে।