বাঙালীর গর্বের, গৌরবের মাস মার্চ। এই মাসেই ঘোষিত হয় বাঙালীর স্বাধীনতা, বাংলাদেশ নামের একটি নতুন দেশের স্বাধীনতা। বঙ্গবন্ধুর ডাকে বাঙালী ঝাঁপিয়ে পড়ে মুক্তির মরনপণ লড়াইয়ে। স্মৃতির মনিকোঠা থেকে ১৯৭১-এর মার্চের সেই দিনগুলোকে সবার কাছে তুলে ধরতে চ্যানেল আই সংবাদের আয়োজন, উত্তাল মার্চের এই দিনে।
প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খান ২৫ মার্চ ঢাকায় অনুষ্ঠেয় জাতীয় পরিষদের অধিবেশন স্থগিত ঘোষণা করেন। রমনার প্রেসিডেন্ট ভবনে প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খান, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও জুলফিকার আলী ভুট্টো বৈঠক করেন। প্রেসিডেন্টের সঙ্গে ওটা বঙ্গবন্ধুর ষষ্ঠ দফা বৈঠক। ভুট্টো সন্ধ্যায় আবার প্রেসিডেন্ট ভবনে নিজের উপদেষ্টাদের নিয়ে ইয়াহিয়া খানের সঙ্গে আলোচনায় মিলিত হন। একদিকে বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে বৈঠক আর অন্যদিকে ষড়যন্ত্রের নীলনকশা তৈরিতে ব্যস্ত থাকে ভুট্টো-ইয়াহিয়ারা।
ছাত্র ইউনিয়নের তৎকালীন নেতা মাহবুব জামান বলেন, সেই সময় আমরা যারা ছাত্র ছিলাম তারা পাড়ায় পাড়ায় গিয়ে সবাইকে উদ্বুদ্ধ করে তোলা, প্রতিরোধ গড়া আর যুদ্ধের জন্য প্রস্তুতি নেওয়া।
সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত রাজধানী ঢাকার রাজপথে নামে মিছিলের স্রোতধারা। স্বাধীনতা অর্জনের বলিষ্ঠ শপথে জয় বাংলা শ্লোগানে মুখরিত শোভাযাত্রীদের গন্তব্যস্থল বঙ্গবন্ধুর বাস ভবন। সমবেত জনতার উদ্দেশ্যে দৃপ্তকন্ঠে বঙ্গবন্ধু বলেন, সাত কোটি মানুষের মুক্তি অর্জন না হওয়া পর্যন্ত সংগ্রাম চলবে।
মাহবুব জামান আরো বলেন, যখন আলোচনাটা ব্যর্থ হলো সেই আলোচনা ব্যার্থর পর যে আক্রমণ সেই আক্রমণের সাথে আমরা প্রস্তত ছিলাম না।
দিনের পর দিন নিস্ফল আলোচনার আড়ালে সামরিক জান্তা আসলে পরিকল্পনা চুড়ান্ত করছিলো বাঙালীর ওপর হামলার প্রস্তুতি।