কোভিড-১৯ পরবর্তী বিশ্ববাণিজ্যের সুযোগ কাজে লাগাতে আগামী এক মাসের মধ্যে বাংলাদেশ ভুটানের সাথে প্রথম মুক্তবাণিজ্য চুক্তি (এফটিএ) স্বাক্ষর করবে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি।
বৃহস্পতিবার ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরাম এবং রিসার্চ অ্যান্ড পলিসি ইনটিগ্রেশন ফর ডেভলপমেন্ট (র্যাপিড) আয়োজিত “কোভিড-১৯ অ্যান্ড বাংলাদেশ ইকোনমি” শীর্ষক ভার্চুয়্যাল কর্মশালায় তিনি এসব কথা বলেন।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, কোভিড-১৯ এর কারণে বিশ্বের ব্যবসা-বাণিজ্য বেশ ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। বাংলাদেশও তা থেকে বিচ্ছিন্ন নয়। তবে কোভিড-১৯ পরবর্তী বিশ্ববাণিজ্যের সুযোগ কাজে লাগাতে আগামী এক মাসের মধ্যে বাংলাদেশ প্রথম এফটিএ স্বাক্ষর করবে ভুটানের সাথে। এরপর পর্যায়ক্রমে ৪২টি দেশের সাথে এফটিএ স্বাক্ষর হবে। ইন্দোনেশিয়াসহ ১১টি দেশের সাথে আলোচনা অনেক এগিয়েছে।
কোভিড-১৯ শেষ হওয়ার পর আবার ঘুড়ে দাঁড়াবো, আমরা সেটা পারবো-এমন প্রত্যয় ব্যক্ত করে তিনি বলেন, সামনে আমাদের জন্য শুভদিন অপেক্ষা করছে। কোভিড-১৯ পরবর্তী বিশ্ববাণিজ্যের সুযোগ কাজে লাগানোর সময় এসেছে। এ সুযোগ কাজে লাগাতে সম্মিলিতভাবে কাজ করতে হবে।
তিনি বলেন, করোনায় পরিবর্তিত এবং প্রতিযোগিতামূলক বিশ্ববাণিজ্যে অনেক কিছু হবে। চীন এবং যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে বাণিজ্যযুদ্ধ চলছে। জাপান চীন থেকে বিনিয়োগ প্রত্যাহারের ঘোষণা দিয়েছে। নিজেদের সক্ষমতা ও যোগ্যতা দিয়ে বিশ্ববাণিজ্যে জায়গা করে নেয়ার সময় এসেছে। সময় নষ্ট না করে দ্রুত এগিয়ে আসতে হবে সবাইকে।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, প্রধান রপ্তানি পণ্য তৈরি পোশাক খাত ঘুড়ে দাঁড়াচ্ছে। রপ্তানি বাজারে শুধু তৈরি পোশাকের উপর নির্ভর করে থাকলে চলবে না। আইটি, ঔষধ, চামড়াজাত পণ্য, পাটজাত পণ্য, লাইট ইঞ্জিনিয়ারিং, সিরামিক, বৈদ্যুতিক সামগ্রী রপ্তানির বিপুল সম্ভাবনা রয়েছে। এজন্য সরকার হযোগিতা দিয়ে যাচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, আশা করা যায় এ বছরের শেষে কোভিড-১৯ পরিস্থিতির উন্নতি হবে। পরিবর্তিত বিশ্ব পরিস্থিতিতে দেশীয় ও আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে বাংলাদেশের জন্য একটি বড় সুযোগ আসতে পারে। এ সুযোগকে কাজে লাগাতে হবে। বাংলাদেশ সরকার সে লক্ষ্যকে সামনে রেখে কাজ করে যাচ্ছে।
ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরামের প্রেসিডেন্ট সাইফ ইসলাম দিলালের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক এস এম রাশিদুল ইসলামের সঞ্চালনায় কর্মশালায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন র্যাপিডের চেয়ারম্যান ড. মোহাম্মদ আব্দুর রাজ্জাক। বক্তব্য রাখেন অনুষ্ঠানের গেস্ট অব অনার বিল্ডের চেয়ারম্যান আবুল কাশের খান, ডিসিসিআইয়ের প্রেসিডেন্ট সামস মাহমুদ, এশিয়া ফাউন্ডেশনের কান্ট্রি রিপ্রেজেনটেটিভ কাজী ফয়সাল বিন সিরাজ, র্যাপিডের নির্বাহী পরিচালক ড. আবু ইউসুফ প্রমুখ।