কোহলিকে থামাবে কে? কোথায় পৌঁছে থামবেন কোহলি? এমন প্রশ্নে চারদিক সরগরম। কোহলির সেই প্রশ্নে বিস্তর আগ্রহ আছে বলেই মনে হচ্ছে! ভারত অধিনায়ক সরাসরি আলোচনায় অংশ না নিলেও যে পরোক্ষে আলোচনার রসদ যুগিয়ে যাচ্ছেন ব্যাটকে তলোয়ার বানিয়ে। রোববার আরেকটি সেঞ্চুরি, আরেকটি দ্রুততমের রেকর্ডে কোহলিময় ক্রিকেট আলোচনায় মেতেছে বিশ্ব।
কানপুরে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডেতে সবটুকু আলোচনা হতে পারত রোহিত শর্মাকে নিয়েই। দেড়শ ছুঁইছুঁই ইনিংস খেলেছেন এই উদ্বোধনী। কিন্তু আলোচনার বেশিটা দখল করে নিয়েছেন বিরাট কোহলি। ক্যারিয়ারের ৩২তম ওয়ানডে শতক আর দ্রুততম ৯ হাজার রানের মাইলফলকে পা রেখে।
শেখর ধাওয়ান (১৪) দ্রুত ফেরার পর কোহলিকে নিয়ে ২৩০ রানের জুটি গড়েছেন রোহিত। ১৪৭ রানের ইনিংস খেলে থেমেছেন। ১৩৮ বলের ঝলমলে ইনিংসে ১৮ চারের সঙ্গে দুটি ছয়ের মার।
কোহলি সেখানে ফিরেছেন ১১৩ রানে। ৯ চার ও এক ছয়ে ১০৬ বলের ইনিংস সাজিয়ে। সঙ্গে ষষ্ঠ ভারতীয় হিসেবে একদিনের ম্যাচে নয় হাজারি ক্লাবে পা রেখেছেন।
একইসঙ্গে কোহলি চলতি বছর ষষ্ঠবার শতরান ছুঁয়ে সব দলের অধিনায়ককে টপকে গেছেন। আগে সৌরভ গাঙ্গুলি (২০০০), রিকি পন্টিং (২০০৩ ও ২০০৭), গ্রায়েম স্মিথ (২০০৫) ও এবি ডি ভিলিয়ার্স (২০১৫) এক বছরে পাঁচটি করে শতরান করেছিলেন।
ডি ভিলিয়ার্সকে আরও একটি জায়গায় টপকে গেছেন কোহলি। দ্রুততম নয় হাজারির পথে ১৯৪ ইনিংস খেলেছেন কোহলি, ভিলিয়ার্সের লেগেছিল ২০৫ ইনিংস।
কোহলি-রোহিতের বীরত্বের দিনে নির্ধারিত ওভারে ৬ উইকেটে ৩৩৭ রানের সংগ্রহ গড়েছে ভারত। তিন ম্যাচের সিরিজে ১-১এ সমতা, সিরিজ বাঁচাতে তাই বড় লক্ষ্যই তাড়া করতে হচ্ছে কিউইদের।