লা লিগার শিরোপা নিশ্চিত করে ফেলা রিয়াল মাদ্রিদ মেতেছিল গোল উৎসবে। হ্যাটট্রিকের দেখা পেলেন ব্রাজিলিয়ান উইঙ্গার ভিনিসিয়াস জুনিয়র। বল জালে জড়ানোকে অভ্যাসে পরিণত করা বেনজেমা পেলেন গোল। আর তাতেই লেভান্তেকে ৬-০ গোলে বিধ্বস্ত করে তাদেরকে রেলিগেশনের পথ দেখিয়ে দিয়েছে লস ব্লাঙ্কোস।
৩৬ ম্যাচে রিয়ালের পয়েন্ট ৮৪। দ্বিতীয় স্থানে থাকা বার্সেলোনা তাদের চেয়ে ঢের পিছিয়ে। সমান ম্যাচে কাতালান ক্লাবটির ঝুলিতে ৭২ পয়েন্ট রয়েছে। টেবিলের একদম নিচে থাকা লেভান্তের পয়েন্ট ২৯।
বৃহস্পতিবার সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে হওয়া ম্যাচে শুরুর একাদশেই ছিলেন বেনজেমা ও ভিনিসিয়াস। বেঞ্চে ছিলেন টনি ক্রুজ ও কাসেমিরো। খেলায় মোট ২৭টি শট নেয় রিয়াল, লক্ষ্য বরাবর ছিল ১৬টি। লেভান্তে ১৬টি শট নিলেও কেবল একটি লক্ষ্যে রাখতে পেরেছিল।
১৩ মিনিটে লুকা মড্রিচের বাড়ানো বল নিয়ে বাম পায়ের কোণাকুণি শটে স্বাগতিকদের লিড এনে দেন ফেরল্যান্ড মেন্ডি। ছয় মিনিট পর ভিনিসিয়াসের কর্নার কিকে ভেসে যাওয়া বলে হেডে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন বেনজেমা।
এই গোলের ফলে বেনজেমা রিয়ালের জার্সিতে ক্লাবটির কিংবদন্তি রাউল গঞ্জালেসের সমান ৩২৩ গোলের মালিক হলেন। তাদের চেয়ে এগিয়ে শুধুই ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো। রিয়ালের হয়ে তার গোল সংখ্যা ৪৫০।
চ্যাম্পিয়ন্স লিগে ম্যানচেস্টার সিটির বিপক্ষে ১-০ গোলে পিছিয়ে থেকে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ থেকে বিদায়ের দ্বারপ্রান্তে দাঁড়িয়েছিল রিয়াল মাদ্রিদ। ৯০ ও যোগ করা সময়ের প্রথম মিনিটে জোড়া গোল করা ব্রাজিলিয়ান স্ট্রাইকার রদ্রিগোর ত্রাতা হয়ে যাওয়ার স্মৃতি এখনো টাটকা। লেভান্তের বিপক্ষে তিনিও পান গলেন দেখা। ৩৪ মিনিটে মড্রিচের অ্যাসিস্টে ডান পায়ে লক্ষ্যভেদ করেন। এর চার মিনিট আগে রদ্রিগো গোল করলেও তা অফসাইডের কারণে বাতিল হয়।
বাকি সময়টা ছিল শুধুই ভিনিসিয়াসের। বিরতির আগে ৪৫ মিনিটে মড্রিচের পাসে বল নিয়ে দুরহ কোণ থেকে নেয়া ডান পায়ে নিশানাভেদ করলে স্কোরলাইন দাঁড়ায় ৪-০।
৫৮ মিনিটে অফসাইডে বাতিল হয় ভিনিসিয়াসের গোল। দশ মিনিট পর অবশ্য ঠিকই ওয়ান গোলের দেখা। বেনজেমার পাসে বাম পায়ের শটে করেন লক্ষ্যভেদ। মড্রিচের বাড়িয়ে দেয়া বল নিয়ে ৮৩ মিনিটে বাম প্রান্ত থেকে কোণাকুণি শটে ২১ বর্ষী ব্রাজিলিয়ান পূর্ণ করেন হ্যাটট্রিক।