দেশের জনপ্রিয় ব্যান্ড মাইলসের অন্যতম সদস্য শাফিন আহমেদকে নিয়ে গত বৃহস্পতিবার ডাবম্যাশ ভার্সনে মজা করে সংগীত পরিচালক ফুয়াদ আল মুক্তাদির ফেসবুকে একটি ভিডিও প্রকাশ করেছেন। আর তা দেখে ফুয়াদের ওপর রাগ করেছেন শাফিন। তিনি গতকাল শুক্রবার রাতে ফেসবুকে দেওয়া আরেকটি ভিডিওতে ফুয়াদকে এর জন্য ক্ষমা চাইতে বলেছেন। তবে ভিডিওর শেষ দিকে তিনি বলেছেন, ‘আমার ভক্তদের কথা আর অনুরোধ বিবেচনা করে আমি তোমাকে মাফ করে দিলাম।’
আজ শনিবার সকালে ফুয়াদ আবার ফেসবুকে লিখেছেন, ‘শাফিন ভাই কী হলো? কিছু বলেন!’
এদিকে সংগীতের এই দুই তারকার ভিডিও নিয়ে অনেকের মনেই রহস্য দানা বেঁধেছে। এই দুই তারকার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন সূত্র থেকে জানা গেছে, এই দুই তারকা বড় কোনো কাজ করেছেন। বড় কোনো চমক! আগামী কিছুদিনের মধ্যে তা সামনে আসবে। কাজটি সামনে আসার আগে প্রচারণার কৌশল হিসাবে এই দুটি পাল্টাপাল্টি ভিডিও ফেসবুকে এসেছে।
কী হতে পারে কাজটি? আজ শনিবার দুপুরে মুঠোফোনে তা জানতে চাওয়া হয় শাফিন আহমেদের কাছে। শুনে তিনি হাসলেন। এরপর কিছুক্ষণ বিরতি নিয়ে বললেন, ‘এখনই সব বলতে চাচ্ছি না। তবে একটা বড় কিছু যে হচ্ছে, এ ব্যাপারে নিশ্চিন্ত থাকুন। এখন থেকে প্রতিদিনই নতুন নতুন খবর জানতে পারবেন।’
তিনি আরও বললেন, ‘এখন প্লিজ, ভিডিও দুটির দিকে মন দিন। এই দুটি ভিডিও বিশ্লেষণ করুন। এখানে অনেক তথ্য দেওয়া হয়ে গেছে। একটু মাথা খাটালেই যে কেউ বুঝতে পারবেন।’
আজ শনিবার দুপুরে ফুয়াদ আল মুক্তাদির তার ফেসবুকে একটি ছবি পোস্ট করেছেন। সাদা–কালো এই ছবিতে লেখা আছে ‘শাফিন আহমেদ : লিজেন্ড’। কথা, সুর ও সংগীতায়োজন ফুয়াদ আল মুক্তাদির। এই ছবি দেখে ধারণা করা হচ্ছে, এবার তারা নতুন কোনো গান করেছেন।
ভিডিওতে দুই তারকা যা বলেছেন :
ফুয়াদ আল মুক্তাদির
হ্যালো আমি শ্যাফ বলছি, শাফিন আহমেদ। তোমরা যখন লুঙ্গি পড়ো, তখন আমি জার্মানি থেকে লেদার প্যান্ট নিয়ে এসেছি। বাংলাদেশে প্রথম আমার জন্য। না হলে তোমরা এখন লুঙ্গি পড়ে গামছা বেঁধে, হারমোনিয়াম-তবলা নিয়ে গণসংগীত করতে। বুঝতে হবে আমাদের অবদান।
ব্যান্ড সংগীত কী সেটা আমি বুঝেয়িছি। রক দিয়েছি, টপ দিয়েছি, রবীন্দ্রসংগীত দিয়েছি, আধুনিক দিয়েছি।
তোমাদের ফ্যাশন আমি শিখিয়েছি, বেজ গিটারের সঙ্গে কীভাবে রুমাল বাঁধতে হয় আমি শিখিয়েছি।
আমি মানামকে কি–বোর্ড বাজানো শিখিয়েছি। আমি আসার আগে মানাম হারমোনিয়াম বাজাতো। আামি জুয়েলকে গিটার বাজানো শিখিয়েছি। ইভেন আমি হামিমকে হামিং দেওয়া শিখিয়েছি আমার গানের সঙ্গে।
বুঝতে হবে লিজেন্ড অনলি ওয়ান খান, অ্যান্ড দ্যাট ইজ শাফিন খান (আহমেদ)। তোমরা যখন ‘নিঃস্ব’ ছিলে তখন শাফিন তোমাদের সব দিয়ে দিয়েছে আর ‘শেষ বিকেলের আলোয়’ ‘ধিকি ধিকি’ করে দিয়েছে। মানুষকে লিজেন্ড বলার আগে ভেবে চিন্তে বলবে…। আই শাফিন ইজ অনলি লিজেন্ড!
তাই যা বলছি মন দিয়ে শোনো, যখন স্টেজে গান করবে তখন একবার টুপি খুলে শাফিনকে সালাম দিয়ে গান করবে।
শাফিন আহমেদ
এ ভিডিও মেসেজটি দিচ্ছি ফুয়াদের জন্য। ফুয়াদ দ্য মিউজিশিয়ান। আমি তাকে ট্যালেন্টেড মনে করেছি।… কিন্তু মাথা নষ্ট হয়ে গেলে তো কিছু হবে না। মাথা ঠিক রাখতে হবে। ফুয়াদের থেকে আমি রিসেন্ট একটা ভিডিও দেখলাম, আমাকে নিয়ে জোক করেছে।… আই থট, হাও ফুলিশ। ইউ পিকড অন মি টু জোক ইয়ুথ? ইউ পিকড অন মি টু ফান ইয়ুথ? ইউ পিকড রং পারসন! তোমার কিন্তু আমার কাছে মাফ চাইতে হবে।
…তুমি নিজেকে অনেক কিছু মনে করতে পারো। শাফিন আহমেদের ধারে কাছে আসতে পারবা না। অনেক চেষ্টা করবা।
…হু ইজ লিজেন্ড? এরপরও বলি, যদি বাংলাদেশের মিউজিক সিনে মানুষ একজনকেই লিজেন্ড হিসেবে ভাবে, তাহলে কে হতে পারে সেই লিজেন্ড? কে হতে পারে? ভাব। আমি বলব না। তোমাকে ভাবতে হবে। অনেক কিছু শেখার আছে।
আমার ভক্তরা আমাকে বলছেন, শাফিন ভাই, মাফ করে দেন, ভুলে যান। যা করেছে, করেছে। আমার ম্যাচিয়র্ড ভক্তদের কথা, রিকোয়েস্ট রেখে আমি তোমাকে মাফ করে দিলাম। তবে ইগনোর করতে পারব না। এই বিষয়টি কমপক্ষে একমাস আমাকে বিরক্ত করবে।
জেনো রেখো, আই অ্যাম দ্য গ্রেটেস্ট। দ্যাট এভার কেম। ওকে মিস্টার ফুয়াদ?
তুমি যদি বাংলাদেশে আসার কথা চিন্তা কর, তার আগে দু’একবার ভেবে দেখো।
আমি আবার প্রমাণ করব, হু ইজ দ্য গ্রেটেস্ট!