বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি কুষ্টিয়ার ভেড়ামারায় নবনির্মিত ৫০০ মেগাওয়াট এইচভিডিসি (২য় ব্লক) প্রকল্পের নির্মাণ কাজের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করবেন সোমবার।
ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এই প্রকল্পের উদ্বোধন করবেন তারা। গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সে অংশ নেবেন প্রধানমন্ত্রী।
এসময় বাংলাদেশ রেলওয়ে ‘কুলাউড়া-শাহবাজপুর সেকশন পুনর্বাসন’ ও ‘আখাউড়া-আগরতলা ডুয়েল গেজ রেল সংযোগ নির্মাণ (বাংলাদেশ অংশ)’- শীর্ষক প্রকল্পের নির্মাণ কাজেরও উদ্বোধন করবেন তারা।
২০১৩ সালের ৫ অক্টোবর ভেড়ামারায় স্থাপিত এইচভিডিসির প্রথম ব্লকের মাধ্যমে ভারত থেকে ৫০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আমদানি শুরু হয়। পরবর্তীকালে ত্রিপুরা থেকে ১৬০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আমদানি শুরু হয়। এই মোট ৬৬০ মেগাওয়াটের সঙ্গে যুক্ত হচ্ছে নতুন করে ভারত থেকে আমদানি করা ৫০০ মেগাওয়াট।
রোববার দিবাগত রাত ১২টার পর ৩০০ মেগাওয়াট দিয়ে এই বিদ্যুৎ আমদানি শুরু হয়। পর্যায়ক্রমে চাহিদা, গ্রিড সমন্বয় (সিনক্রোনাইজেশন) প্রভৃতির ওপর নির্ভর করে ৫০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আমদানি হবে।
সরকারের পরিকল্পনা অনুযায়ী ২০২১ সালের মধ্যে যে ২৪ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রিডে সঞ্চালন করা হবে তার ১০ শতাংশ, অর্থাৎ ২ হাজার ৪০০ মেগাওয়াট আমদানি করা হবে। এর পুরোটাই আমদানি হবে ভারত থেকে।
২০৪০ সালের মধ্যে মোট বিদ্যুৎ আমদানি করা হবে ৯ হাজার মেগাওয়াট। এর মধ্যে নেপাল ও ভুটান থেকেও আমদানি করা বিদ্যুৎ থাকবে। এ ছাড়া মিয়ানমার আর চীন থেকেও আমদানির চেষ্টা করা হবে।
সরকারি তথ্য মতে, বাংলাদেশ রেলওয়ের কুলাউড়া-শাহবাজপুর অংশের সংস্কার এবং আখাউড়া-আগরতলা ডুয়েলগেজ রেল সংযোগ (বাংলাদেশ অংশ) এই দুই প্রকল্পের কাজে বাংলাদেশ ও ভারত যৌথভাবে অর্থায়ন করবে।
এই প্রকল্পের আওতায় প্রায় ৫৩ কিলোমিটার ডুয়েলগেজ রেল লাইন, সেতু ও কালভার্ট একাধিক স্টেশন ও অবকাঠামো নির্মাণ করা হবে এবং স্থাপন করা হবে নন-ইন্টারলকড কালার লাইট সিগন্যাল ব্যবস্থা।
এই প্রকল্পের প্রাক্কলিত ব্যয় ৬৭৮ কোটি ৫০ লাখ ৭৯ হাজার টাকা। মোট ব্যয়ের ৫৫৫ কোটি ৯৮ লাখ ৭৬ হাজার টাকা ভারত সরকারের এলওসি ঋণ। বাকি ব্যয় বহন করবে বাংলাদেশ সরকার।
দ্বিতীয় প্রকল্পের আওতায় প্রায় ১০ কিলোমিটার ডুয়েলগেজ রেল লাইন, কালভার্ট, যাত্রী প্লাটফর্ম, প্লাটফর্ম ছাউনি, শুল্ক ও ইমিগ্রেশন ভবন ও রেস্ট হাউস নির্মাণ করা হবে। এতে অনুমানিক ব্যয় ধরা হয়েছে ২৪০ কোটি ৯০ লাখ ৬৩ হাজার টাকা। এই প্রকল্প বাস্তবায়িত হবে ভারতীয় মঞ্জুরি সহায়তায়।