মাননীয় পুলিশ কমিশনার, ডি, এম, পি , ঢাকা। আপনার উপর শান্তি বর্ষিত হোক। শুরুতেই ঢাকা মহানগরীর সকল বাড়ীর মালিকদের নিকট হইতে ভাড়াটিয়া সংক্রান্ত তথ্য সংগ্রহের প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণে অভিনন্দন ও সাফল্য কামনা করছি। পাশাপাশি শিরোনামে লাভের প্রশ্ন তোলায় ক্ষমাপ্রার্থনা করেই বলি, আইনি আদেশ অথবা নাগরিক দায়িত্ব পুলিশকে সহযোগিতা করা এটা যেমন সত্য তেমনি এটাও সত্য এই সহযোগিতার বিনিময়ে যদি নাগরিকের কিছু প্রাপ্তি জোটে বা সম্ভাবনা থাকে সেক্ষেত্রে সহযোগিতাটি কি অনেক বেশী স্বতঃস্ফূর্ত হবে না ?
আমি বিশ্বাস করি এই তথ্য প্রদানের মাধ্যমে কেবল বাড়ীর মালিক নয় ভাড়াটিয়াও কিছু আইনি সুবিধা পেতে পারে এবং এজন্য আপনার বাহিনী বা সরকার কিংবা রাষ্ট্রের আলাদা ব্যায় বা পরিশ্রম হবে না বরং এই সুবিধা দিয়ে আপনার বাহিনী সদস্যদের শ্রম কমতে পারে। সেজন্য সংজ্ঞায় লাভের প্রশ্নটি যোগ করেছি । এ বিষয়টি পরবর্তী আলোচনায় স্পষ্ট করার চেষ্টা করব ।
আমার অজ্ঞানতা হলে ক্ষমা প্রার্থী কিন্তু আমি জানতে আগ্রহী এই পদক্ষেপ টি কি কেবল ব্যাক্তি মালিকানাধীন বাড়ীর মালিকদের জন্য প্রযোজ্য? সেক্ষেত্রে সাফল্যের সম্ভাবনা অর্ধেক। কেন বলছি? আপনি নিশ্চয়ই জানেন এই মহানগরীর ভিতরে সরকারী কর্মচারীদের বসবাসের জন্য বিশাল সীমানা ঘেরা অসংখ্য স্টাফ কোয়ার্টার রয়েছে ।
বিশদ বর্ণনা না দিয়ে বিনয়ের সাথে বলি, এ কথা অস্বীকার করবার পথ নেই এই কোয়ার্টার গুলি প্রায়শই সাবলেট দেয়া হয়, অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায় পুরোটাই সাধারণের কাছে ভাড়া দিয়ে বরাদ্দগ্রহীতা অন্যত্র থাকছেন। এখন আইনত সাবলেট বৈধ নয় বিধায় আইনত তাদের কাছে ভাড়াটিয়া তথ্য চাওয়ার সুযোগ ও আপনার নেই।
আবার লোক বসতির এই বিশাল অংশ যদি তালিকা ভুক্তির বাইরে থাকে তাহলে উদ্যোগটির অর্ধেক ব্যাথ হয়ে যায় শুরুতেই,এটা তো ভাবতেই পারি। এই বিষয়ে এতটা জোর দিচ্ছি এ জন্য যে , আইন ও অপরাধ বিজ্ঞানের সামান্য ছাত্র হিসেবে আমি বুঝি যে কোনো বুদ্ধিমান অপরাধী সাধারণ বাসাবাড়ির চাইতে সরকারী কর্মচারীদের বসতিতে থাকতে চাইবে এটাই স্বাভাবিক।
পুলিশ ও সরকারী কর্মচারী বিধায় অন্য সরকারী কর্মচারীদের উপর আস্থা রাখে, নজরদারি কম থাকে, দুষ্টু লোকে আরেকটি কারণ বললেও আমি তা নাই বলি! এই অবস্থায় অপরাধী এই সুযোগটি নিতে চাইবে, এর প্রতিরোধ কল্পে আইনি কাঠামোর ভেতর থেকেই পদক্ষেপ নিতে হবে, আবার সরকারী কর্মচারীদের সেন্টিমেন্ট ও বিবেচনায় রাখতে হবে।
এবার মূল বিষয়ের আলোচনার শুরুতে একটি অভিযোগ করতে চাই, এ ধরনের একটি প্রয়োজনীয় উদ্যোগ (যতদূর জানি এর আগেও নেয়া হয়েছিল এবং ২০০৯ এর ২৩ এপ্রিল একটি চিঠি দেয়া হয়ে উপ-কমিশনার অব পুলিশ বরাবর প্রতিটি বিভাগে ) খুব অস্থির সময়েই কেন নেয়া হয়? এবং মাত্র দুই দিন সময় দেয়া হচ্ছে এবার , এত অল্প সময়ই বা কেন দেয়া হবে?
এমনিতেই নাগরিক জীবনে কিছুটা আশঙ্কা বিরাজমান আইন শৃঙ্খলা নিয়ে। তার উপর এই তাড়াহুড়া! বাস্তবতা সম্পূর্ণ বিবেচনা না করে দুই দিনের মধ্যে জমা করনের আদেশ ! যেখানে কি জমা করব তাই তো অনেকে জানি না! এই শুভ উদ্যোগ টি কি শেষ পর্যন্ত নাগরিক যন্ত্রণার নতুন মাত্রা হতে যাচ্ছে ? আমি বাস্তবতা সম্পূর্ণ বিবেচিত হয়নি বলেছি, কারণ গুলো ব্যাখ্যা করা সেক্ষেত্রে আমার দায়িত্ব ।
লক্ষ্য করুনঃ ১/ তথ্য সংগ্রহের জন্য নতুন ফর্ম টি আমি হাতে পাইনি এখন ও কিন্তু পূর্বের ফর্মটি দেখার সুযোগ হয়েছিলো। তাতে পূর্ব ও পরবর্তী সর্ব পুরুষের সর্ব বিবরনের সাথে পূর্বে বাসস্থান, সেই মালিকের ঠিকুজি, বর্তমান স্থলে ভাবী অবস্থানকাল, ভাড়াটিয়া পরিবার প্রধান কে সনাক্তকারী দুইজনের পরিচয়( বিবরণ সহ, স্বাক্ষর !) সেই শর্তগুলি যদি এবার ও থাকে তবে আপনি সহ বাংলাদেশের বিবেকবান মানুষের কাছে বিচার প্রার্থনা করি !
কেবল একটি সমস্যা বলি আমার এক ভাড়াটিয়া এক যুগ ধরিয়া আছে, এখানে আশার পূর্বে সে মোহাম্মদপুর এ কোনো এক বাসায় এক মাস ভাড়া ছিলো ( পানির সমস্যা ছিল তাই ছেড়ে দেয় ) বহু চেষ্টা করেও বেচারা ৫ বছর আগে সেই বাসাটি সনাক্ত করিতে পারে নাই । তবু ধরুন রাষ্ট্রের স্বার্থে প্রাণপণ চেষ্টাতে সে যদি বাসাটি খুঁজিয়া বের করে ঐ বাড়ীর মালিকের বিবরণ চাহিতে গেলে মালিক কি তাকে চিনবে? নাকি জঙ্গি সন্দেহে পুলিশে সোপর্দ করবে কে জানে ? আর পূর্ব মালিক সনাক্ত না করলে সেই অপরাধে একযুগ পর আমি তাকে বের করে দিব?
অথচ খুব সহজ বিষয় যেখানে জাতীয় পরিচয় পত্র বিদ্যমান সেখানে পরিবার প্রধানের জাতীয় পরিচয় পত্রের নম্বর কি যথেষ্ট নয় সাথে আপাতত পরিবারের সদস্য সংখ্যা দিলে কি চলত না ? জাতীয় পরিচয় পত্র পুলিশ চাহিলে অনলাইনে যাচাই করিতে পারে সহজেই বা সে বাবস্থা নিতে পারে। বিষয়গুলো বিবেচনা করবেন আশাকরি। এর বাইরে কেবল দুই দিন সময় কি বাস্তব সম্মত ?
২/ বলা হচ্ছে বাড়ীর মালিক ভাড়াটিয়াদের দিয়ে ফর্ম পূরণ করে, সনাক্তকারীদের দ্বারা স্বাক্ষর করিয়ে নিজের অংশ পূরণ করত থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বা বিটের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্তার কাছে জমা করবেন । আধুনিক তথ্য প্রযুক্তির বিষয়টি কি বিবেচনা করা হয়েছে? প্রতিটি থানায় এ সংক্রান্ত লিপিবদ্ধ করনের সুবিধা দিয়ে মেইল এড্রেস প্রচার করা যেত, থানায় না হলে উপকমিশনার অফিসে বা কেন্দ্রীয় ভাবে আপনার কার্যালয় থেকে প্রতিটি থানার জন্য আলাদা মেইল ঠিকানা ঐ ঠিকানাতে উক্ত থানাধীন গলি,উপগলির শিরোনাম গুলো দিয়ে বাড়ীওয়ালার জন্য নিজ হোল্ডিং নম্বর ও ভাড়াটিয়ার বিবরণ লিপিবদ্ধ করনের ব্যাবস্থা রাখা যেত।
যেহেতু আমরা জমা দিলেও পরে পুলিশ তদন্ত করবে , সেখান থেকে নিয়েও করতে পারে। আপনার দপ্তরে জমা তথ্য পরে সংশ্লিষ্ট থানায় পৌঁছে দিতে পারেন । আমি কারিগরি বিষয়টি অত ভালো বুঝি না অভিজ্ঞদের পরামর্শ নেয়া যায় । তবে যারা পারবে ইন্টারনেট এর মাধ্যমে তথ্য দিলে দু’পক্ষের সুবিধা এটুকু বুঝি ।
৩/ এই ফর্ম পাওয়া না পাওয়া বিতর্কের চেয়ে , মোবাইল ফোন অনেক সহজলভ্য আর যেহেতু সিম নিবন্ধন বাধ্যতামূলক, সেই সাথে জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বরটি আছে, কেবল সিম নম্বর নিশ্চিত হলেও তো পরিচয় বেড় করা সম্ভব হবে অচিরেই । প্রতিটি থানার জন্য ৪/৫ টি নম্বর প্রচার করা হোক যেখানে মেসেজ আকারে তথ্য দেয়া যাবে , এবং তা বিনা খরচে । বলতে চাইছি প্রযুক্তির সব পথ খোলা রাখুন।
৪/ বলা হচ্ছে মেসের ক্ষেত্রে ছবি দিতে হবে , এই নগরীতে এমন ও বাচেলর বাসস্থান আছে যেখানে হাজারের উপর অধিবাসী সেক্ষেত্রে সব শর্ত পূরণে ২ দিন কি যথেষ্ট ?
৫/ মুলত নগরীর নাগরিক প্রতিনিধি বা নগর পিতা ও স্থানীয় প্রতিনিধি তথা কমিশনার গন নাগরিকদের কাছে অবস্থান করেন বেশী, বাড়ী, জমি বিষয়ে নগর প্রশাসনে তথ্য যেমন বেশী থাকে তেমনি তাদের কিছু আইনগত ক্ষমতাও রয়েছে। এই ফর্ম কেবল থানায় কেন, স্থানীয় কমিশনারগনের মাধ্যমে জমা করার পদক্ষেপ যোগ করলে সাফল্যের সম্ভাবনা বেশী ছিল না কি ? কমিশনার কার্যালয়ে ফর্ম বিতরণের জন্য রাখা যেত ।
অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে এই প্রয়োজনীয় শুভ উদ্যোগ টি কোন মহল কেবল লোক দেখানো পুলিশি কর্মের মধ্যে সিমাবদ্ধ রাখতে চাইছে, তাই সময়, প্রযুক্তি, নাগরিক সুবিধা , জড়িত বিষয়াবলী কিছুই বিবেচনায় না নিয়ে,” উঠল বাই তো কটক যাই” ধরনের পদক্ষেপ নিতে চাচ্ছে। কিন্তু মনে রাখতে হবে আমাদের রাজনীতি আজ যেমন বিশ্বাসযোগ্যতা হারিয়েছে, মহানগরের পুলিশ প্রধান হিসেবে আপনার এই আদেশটি আবারও বিফল হলে মুলত আইন ক্ষতিগ্রস্থ হবে। আর মূল কথা নিজেদের স্বার্থেই এই কাজটি করতে হবে আমাদের তো আসুন শুরুটা করি ।
এবার শুরুতে যে লাভের কথা বলেছিলাম ,এ কথা বলাই যায় এই বিষয়টি তে কেবল বাড়ীওয়ালা কেন পক্ষ হবে ? কেন ভাড়াটিয়া পক্ষ হবে না ? কোন কারনে বাড়ীওয়ালা না জানালে ভাড়াটিয়া জানাতে পারে। বাড়ীওয়ালা জানানোর পরও ভাড়াটিয়া নিজ উদ্যোগে জানাতে পারেন। এতে ক্রসচেক করার পরিশ্রম থেকে একটু হলেও বেঁচে যাবে পুলিশ বাহিনী। পুলিশ বাহিনী আইনের মধ্যে যে সুবিধা টুকু দিতে পারে নাগরিকদের যাতে তারা আরও স্বতঃস্ফূর্ত ভাবে তথ্য দিতে উৎসাহ পায় তার মধ্যেঃ ১/ বাড়ীওয়ালার জন্য একটি আশংকা খারাপ ভাড়াটিয়া । খারাপ বলতে কেবল জঙ্গি ধরনের অপরাধী নয়, সামাজিক অপরাধ, চুক্তি মোতাবেক ভাড়া না দেয়া, অনেক সময় তো অপদখল এর চেষ্টা, হুমকি , চুক্তি বহির্ভূত কাজকর্ম ইত্যাদি পরিচালিত হয়
কিন্তু ভাড়া সংক্রান্ত বা দেওয়ানি বিষয় বলে সম্ভব হলেও পুলিশ এগিয়ে আসে না, অথচ পুলিশ সামাজিক দায়িত্বর অংশ ভেবেও সহযোগিতা করলে অনেক বাড়িওয়ালার হয়রানি কমত। যতই দেওয়ানি, ভাড়া চুক্তি আইনের দোহাই দেয়া হোক , পুলিশ ন্যায় সংগত অবস্থান নিলে তা উপেক্ষা করা কঠিন । বাড়ীর মালিক পুলিশ কে সহযোগিতা করবেন বিনিময়ে পুলিশ ও তাদের আন্তরিকতার সাথে সহযোগিতার আশ্বাস দিতে পারে এবং অনেক মালিক ই অভিযোগ করেন তথ্য দিলে তারা হয়রানির স্বীকার হন যদি ভাড়াটিয়া অপরাধজনক কিছুতে গ্রেফতার হন। বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে মালিকদের আশ্বস্ত করার দায়িত্ব পুলিশেরই ।
আর মালিক ভাড়াটিয়ার তথ্য প্রেরন করতে পারে কিন্তু দায়িত্ব কি করে নেবে, যখন প্রথম আসা মানুষটাকে জীবনে প্রথম দেখা মালিকের ? আমি মালিক হলে আমি কি তার সাথে তার গ্রামের বাড়ী পর্যন্ত যেয়ে তদন্ত করব না তাকে যারা সনাক্ত করল তাদের পরিচয় সনাক্ত করতে গোয়েন্দাগিরি করব ? তার চেয়ে যার তথ্য সেই দিক ।
এবার আসি ভাড়াটিয়া প্রসঙ্গে, কোনো ভাড়াটিয়া যদি ভাড়া বাসায় উঠার প্রথম সাত দিনের মধ্যে স্বেচ্ছায় থানায় তথ্য লিপিবদ্ধ করে এবং সাথে ভাড়ার চুক্তি পত্র টি জমা দেয় তবে সে চুক্তিকালীন সময়ে কোনো হয়রানি যেমন উচ্ছেদ, মর্জি মত ভাড়া বৃদ্ধি , তার প্রাপ্য সুবিধা হতে বঞ্চিত হওয়ার মত ঘটনা ঘটবে না এই বিষয়ে তাকে যথা সম্ভব সহযোগিতার আশ্বাস দিন, দেখুন বাড়ীওয়ালা না গেলেও ভাড়াটিয়া’রা তথ্য নিয়ে লাইন ধরবে থানায়।
আরেকটি সুবিধা নাগরিক হিসেবে পেতে পারি আমরা, আপনি জানেন , আমিও আদালতে দেখেছি ” নাম ঠিকানা যাচাই হয় নাই” এই কথাটিও অনেক সময় প্রাপ্য জামিনে বাধা হয়ে দাঁড়ায়। এছাড়াও অহরহ “কেবল কই থাকিস ঠিক করে বল ” এই অভিযোগে হয়রানি করা হয় বলে অভিযোগ আসে। প্রতিটি বাড়ীর মালিক ও পরিবার প্রধানের মোবাইল নম্বর যার যার থানায় সংরক্ষিত থাকলে ,তল্লাশিকালে সন্দেহ করে আটক যে কোনো মানুষ যদি সে ঢাকার অধিবাসী হয় তবে অন্য থানায় আটক হলেও একটি ওয়্যারলেস বার্তার মাধ্যমে তার পরিচয় নিশ্চিত হয়ে অন্য কোন অভিযোগ না থাকলে তাকে ছেড়ে দেয়া যায় ।
এই বিষয়টি সাধারণের জন্য যে কতটা স্বস্তিদায়ক হবে আপনি অন্তত বুঝবেন আশাকরি । মাননীয় কমিশনার, সাধারণ মানুষের জায়গায় আপনি হলে কি এই সুযোগ টুকু নিতে চাইতেন না ? তাই বলছিলাম তথ্য দেয়ার কিছু লাভ তো দেখি, এমন কোন লাভ হয়ত নয়, হয়ত কেবল আশ্বাস তবু আমাদের পুলিশ বাহিনী আন্তরিকতা নিয়ে আমাদের জন্য ভাবে এই বোধটুকু এলেই বা লাভ কম কি ? যে যাই বলুক এখন ও যে ন্যূনতম নিরাপত্তা বোধটুকু আছে সমাজে তাতে মূল অবদান কিন্তু এই পুলিশ বাহিনীরই ।
কোনো নির্দিষ্ট পরিস্থিতিতে নয়, সব সময় সমাজের, দেশের প্রতিটি নাগরিকের জান-মাল হেফাজত-এর দায়িত্ব পুলিশ বাহিনীর, আইনের মর্যাদা রক্ষা, আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় এই বাহিনীর কোনো বিকল্প নেই, দায়িত্ব পালনের জন্য যা প্রয়োজন তা তাকে করতেই হবে, সময়ের দাবী মেটাতে হবে পুলিশ বাহিনীকে।
আবার পৃথিবীর কোথাও শুধু পুলিশ বাহিনী একক ভাবে এই দায়িত্ব পালনে সফল হয়েছে এমন নজীর ও নেই, যাদের সেবায় এই বাহিনী চূড়ান্ত বিচারে তাদের সমর্থন ও সহযোগিতা ছাড়া কোনো সাফল্য সম্ভব নয়। রাষ্ট্রের সামনে যে ভীতিকর কর ছবিটি আঁকার চেষ্টা করা হচ্ছে তা রুখতে পুলিশ ও জনগণ কে হাতে হাত রেখে এগিয়ে যেতে হবে, আগামী প্রজন্মের জন্য এক নিরাপদ দেশ রেখে যাবার স্বার্থে সব নাগরিক কে যেমন পুলিশের পাশে দাড়াতে হবে, পুলিশ বাহিনীর প্রতিটি সদস্য কেও প্রতি মুহূর্তে মনে রাখতে হবে , ” আইনের শাসন ও ন্যায় বিচার” প্রতিষ্ঠার সৈনিক হিসেবে তাদের দেখতে চায় তাদের নিজ দেশের মানুষ- এই বাহিনী যে সেই ভয়াল কালো রাতে প্রতিরোধ গড়ে তোলা প্রথম কাতারের সৈনিক। আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম অর্জন।
(এ বিভাগে প্রকাশিত মতামত লেখকের নিজস্ব। চ্যানেল আই অনলাইন এবং চ্যানেল আই-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে প্রকাশিত মতামত সামঞ্জস্যপূর্ণ নাও হতে পারে।)