সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণ থেকে লেডি জাস্টিসের আদলের গড়া ভাস্কর্য সরিয়ে একটি বিশেষ গোষ্ঠীর কাছে হার মানা হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন ভাস্কর মৃণাল হক।
তিনি বলেন, ‘আমরা আজ একটি বিশেষ গোষ্ঠীর কাছে হার মেনে গেলাম। যে কারণে আমরা স্বাধীনতা এনেছিলাম, এখন মনে হচ্ছে যে সেই স্বাধীনতা আমরা ভোগ করতে পারছি না বা পারবো না।’
ভাস্কর্যটি সরিয়ে নেয়ার পর অসহায়ত্ব ও ক্ষোভ নিয়ে অশ্রুসজল চোখে মৃণাল হক এসব কথা বলেন।
অপসারিত এই ভাস্কর্যটি হাইকোর্টের সম্প্রসারিত ভবনের সামনে পুনঃস্থাপন করা হতে পারে বলেও জানান তিনি।
লেডি জাস্টিসের ভাস্কর্য সরানোর প্রতিবাদে বিক্ষোভ করেছে গণজাগরণ মঞ্চ, ছাত্র ইউনিয়নসহ বেশ কয়েকটি সংগঠন। বিক্ষোভকারীরা বলছেন, ভাস্কর্য সরানোর মধ্য দিয়ে মৌলবাদীরা আরও উৎসাহ পাবে।
রাত ১২টার দিকে অনেকটা গোপনেই শুরু হয় ভাস্কর্য সরানোর প্রক্রিয়া। টানা ৪ ঘণ্টা ধরে কয়েকজন শ্রমিক ভাস্কর্য সরানোর কাজ করেন।
২০১৬ সালে এই ভাস্কর্যের নকশা করেন মৃনাল হক। ১৮ই ডিসেম্বর এটি স্থাপন করা হয়। এরপর থেকেই হেফাজতে ইসলামসহ কয়েকটি ইসলামী সংগঠন ভাস্কর্যটি সরানোর চাপ দিয়ে আসছিলো।