সুপ্রিম কোর্টের সামনে থেকে সরানো ভাস্কর্যটি আবার সেখানকার অ্যানেক্স ভবনের সামনে পুন:স্থাপন করাকে হতাশাজনক বলে মন্তব্য করেছে ধর্মভিত্তিক সংগঠন হেফাজতে ইসলাম। পাশাপাশি জয়পুরহটে মন্দিরে হামলার ঘটনায় নিন্দা জানিয়েছে এ সংগঠন।
রবিবার গণমাধ্যমে পাঠানো হেফাজতের এক বিবৃতিতে এসব কথা জানানো হয়।
বিবৃতিতে হেফাজতে ইসলামের আমীর শাহ আহমদ শফী বলেন, ২৫ মে মধ্যরাতে সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণ থেকে গ্রিক দেবীর ভাস্কর্য অপসারণের মাত্র দুই দিনের মাথায় ভাস্কর্যটি আবার অ্যানেক্স ভবনের সামনে পুনঃস্থাপন করা অত্যন্ত হতাশাজনক।
গ্রিক দেবী থেমিসের প্রতীক পুনঃস্থাপনের মাধ্যমে ‘মানুষের সম্মিলিত আকাঙ্ক্ষাকে’ সরকার বিন্দুমাত্র গুরুত্ব দিচ্ছে না বলেও অভিযোগ করেন তিনি।
বিবৃতিতে বলা হয়, ‘রমজানের আগে কোন সংঘাত ছাড়া থেমিস অপসারণে ভেবেছিলাম সকলের শুভবুদ্ধির উদয় হয়েছে, ঠিক তখন মুসলমানদের কাছে অত্যন্ত পবিত্র মাস রমজানের প্রথম রাতে থেমিসকে পুনঃস্থাপন করে জাতির ধর্মীয় বিশ্বাস ও আবেগের সঙ্গে তামাশা করা হয়েছে।’
অন্যদিকে জয়পুরহাটের বেল আমলার বারো শিবালয় মন্দিরে দুর্বৃত্তদের হামলা চালিয়ে ভাঙচুরের খবর গণমাধ্যমে প্রচারিত হতে দেখে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন হেফাজতে ইসলামের মহাসচিব আল্লামা হাফেজ মুহাম্মদ জুনায়েদ বাবুনগরী।
তিনি বলেন, হেফাজতে ইসলাম সংখ্যালঘুদের উপর যে কোনরূপ সাম্প্রদায়িক হামলা ও তাদের যে কোন ধর্মীয় উপাসনালয়ে হামলার মতো ন্যাক্কারজনক ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়ে থাকে।
বিবৃতিতে হেফাজতের মহাসচিব বলেন, জয়পুরহাটের মন্দিরে হামলার যে ঘটনা গণমাধ্যমে বেরিয়েছে, বাস্তবিকই এমন কিছু ঘটে থাকলে সেটা অবশ্যই উদ্বেগের ও নিন্দনীয়।
এ ধরণের ঘটনার নিরপেক্ষ ও সঠিক তদন্ত এবং দোষী দুর্বৃত্তদেরকে চিহ্নিত করে গ্রেফতার ও উপযুক্ত দৃষ্টান্তমুলক শাস্তি বিধানের আহ্বান জানান তিনি।
কোন সম্প্রদায়ের নিজস্ব প্রতিমার সুরক্ষা সকলের নৈতিক এবং সামাজিক দায়িত্ব বলেও তিনি মন্তব্য করেন।