নোয়াখালীর ভাসানচরের উদ্দেশে রওনা দিয়েছে দুই হাজার রোহিঙ্গা। সোমবার সকালে চতুর্থ দফায় চট্টগ্রাম বোট ক্লাব থেকে এসব রোহিঙ্গাকে নিয়ে রওনা দেয় নৌবাহিনীর পাঁচটি জাহাজ।
এই দফায় দুই হাজার ১০ জন রোহিঙ্গা ভোর ৬টা থেকে থেকেই নৌবাহিনীর জাহাজে উঠতে শুরু করেন। সকাল ১০টার মধ্যেই শেষ হয় সব প্রস্তুতি।
ভাসানচরে যাওয়ার আগে রোহিঙ্গারা জানিয়েছে, যারা ইতোমধ্যে গিয়েছে তাদের কাছ থেকে ভাসানচরের পরিবেশ সম্পর্কে খোঁজ নিয়েছে। ভাল থাকার জন্যই তারা ভাসানচরে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
নোয়াখালীর ভাসানচরে যাওয়ার আগে গতকালই তারা কক্সবাজার থেকে চট্টগ্রামে পৌঁছায়। পরে দফায় আরও দেড় হাজার রোহিঙ্গাকে কক্সবাজার থেকে চট্টগ্রামে পাঠানোর প্রস্তুতি চলছে।
২০২০ সালের ৪ ডিসেম্বর প্রথম দফায় স্থানান্তর করা হয় ১ হাজার ৬৪২ জন রোহিঙ্গাকে। ২৯ ডিসেম্বর দ্বিতীয় দফায় ১ হাজার ৮০৪ জনকে স্থানান্তর করা হয়। আর এ বছরের ২৯ ও ৩০ জানুয়ারি তৃতীয় দফায় স্থানান্তর করা হয় ৩ হাজার ২৪২ জনকে।
ভাসানচরের আশ্রয়শিবিরে মোট ১ লাখ রোহিঙ্গাকে সরিয়ে নেওয়ার পরিকল্পনা আছে সরকারের।
২০১৭ সালের ২৫ আগস্ট মিয়ানমারের রাখাইনে রোহিঙ্গাদের ওপর নৃশংসতা শুরু হলে পরের কয়েক মাসে অন্তত ৮ লাখ রোহিঙ্গা বাংলাদেশে পালিয়ে আসে। এর আগে আসে আরও কয়েক লাখ।
বর্তমানে উখিয়া ও টেকনাফের ৩৪টি আশ্রয়শিবিরে নিবন্ধিত রোহিঙ্গার সংখ্যা সাড়ে ১১ লাখ।