চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ
Channelionline.nagad-15.03.24

‘ভারী ড্রেসিংরুম’ই বিজয়ের অনুপ্রেরণা

তিন বছর ছিলেন না জাতীয় দলে। ফিরে এসে পেলেন অভিজ্ঞতায় পূর্ণ এক ড্রেসিংরুম। এনামুল হক বিজয়ের বাইরে থাকার সময়ে বড় বড় অর্জনে নাম লিখিয়েছে বাংলাদেশ। ব্যক্তিগত কীর্তিতে দলের অভিজ্ঞ খেলোয়াড়রা নিজেদের নিয়ে গেছেন অনন্য উচ্চতায়। অভিজ্ঞদের সঙ্গে যোগ হয়েছেন মোস্তাফিজ-মিরাজের মতো বিস্ময়বালকরা। পারফর্মারে ভরা ড্রেসিংরুম দেখে বিজয়েরও আকাঙ্ক্ষা বেড়েছে ভাল করার।

‘ড্রেসিংরুমে থাকলে আলাদা একটা ভাললাগা কাজ করে। সব ফরম্যাট মিলে তামিম ভাইয়ের ১১ হাজার রান, সাকিব ভাইয়ের ১০ হাজার, মুশফিক ভাইয়ের ৩০০ ম্যাচ। মাশরাফী ভাইয়ের মতো নেতৃত্ব, রিয়াদ ভাইয়ের মতো দারুণ ফাইটার, মোস্তাফিজের মতো এ রকম একজন খেলোয়াড়; খুব ভারী ড্রেসিরংরুম হয়ে গেছে আগের থেকে। মনে হয় এ ড্রেসিংরুমে থাকতে হলে নিজেকে বাড়তি কিছু করতে হবে। বাড়তি পরিশ্রম করতে হবে। এই মনে হওয়াটা অনেক বড় বিষয়। এই পরিবর্তনটা চোখে লাগার মতো। ড্রেসিংরুমটা অসাধারণ এখন।’

ফিট থাকতে সবার আগে চিনি বাদ দিন, প্রাকৃতিক ও নিরাপদ জিরোক্যাল-এর মিষ্টি স্বাদ নিন।

জাতীয় দলে ফিরে স্বাধীনতা নিয়েই খেলতে পারছেন বিজয়। যে জিনিসে ভর করে বাংলাদেশ দল কেবলই সামনের পথে হাঁটছে বলে মনে করেন ত্রিদেশীয় সিরিজে তামিমের ওপেনিং সঙ্গী।

‘প্রতিনিয়ত সবাই চেষ্টা করছে উন্নতি করার। চেষ্টা করছে বাংলাদেশেকে অনেক বড় জায়গায় নিয়ে যেতে। ক্রিকেটর প্রতি সবার ভালবাসা, মানসিকতা, দারুণ সম্ভাবনা সৃষ্টি করছে। সবাই দল হিসেবে খেলছে। দলে দারুণ দারুণ খেলোয়াড় আছে। যারা এক হাতে দলকে যেকোনো জায়গায় নিয়ে যেতে পারে। সবাই স্বাধীনতা নিয়ে খেলছে, মনের মতো করে খেলছে। যে জিনিসটা খুব গুরুত্বপূর্ন ছিল।’

বিজয়ের কাছে দলের চাওয়া আক্রমণাত্মক ব্যাটিং। যার প্রতিফলন রাখতে চেষ্টা করছেন সৌম্য সরকারের জায়গায় দলে ঢোকা এ ডানহাতি ব্যাটসম্যান। দুই ম্যাচেই একশ’র উপরে স্ট্রাইকরেট তার। অবশ্য ইনিংস বড় করতে পারেননি। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ১৪ বলে ১৯ আর শ্রীলঙ্কার সঙ্গে ৩৫ বলে ৩৭। তবে খুব তাড়াতাড়ি ব্যাটে বড় রান চলে আসবে বলে আত্মবিশ্বাসী বিজয়। দলের প্রয়োজনে ঠাণ্ডা মেজাজে ব্যাটিং করার মানসিকতাও চর্চায় রাখছেন ২৫ বছর বয়সী ক্রিকেটার।

‘সবসময় চেয়েছি দল যেভাবে চায় সেভাবে ব্যাটিং করতে। আমার খেলাটা যেকোনো সময় পরিবর্তন করতে পারব। কোন সমস্যা নেই। যদি দেখা যায় উইকেট তাড়াতাড়ি পড়ে গেছে, যতটুক পারব ধরে খেলার চেষ্টা করব। যখন মারতে হবে, চেষ্টা করব পাওয়ার প্লেতে মারার। টেস্ট ক্রিকেট হলে চেষ্টা করব লম্বা সময় ব্যাটিং করার। আমার খেলা থেকে যেকোনো সময়ে বের হয়ে আসতে পারি। দলের চাওয়ামত খেলার চেষ্টা করছি।’

‘যতটুকু শিখেছি, প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত, প্রথম শ্রেণির ক্রিকেট বা টি-টুয়েন্টি, ওয়ানডে; সবসময় দলের প্রয়োজনে যেভাবে ব্যাটিং করার সেভাবেই করেছি। আমার নিজের একটা স্টাইল আছে, আক্রমণাত্মক ব্যাটিং করি, ঠিক আছে। কিন্তু দল যখন যেভাবে চায় সেভাবে ব্যাটিং করার ক্ষমতাও অর্জনের চেষ্টা করছি। সামনে যদি এমন পরিস্থিতি আসে, কম বলে বেশি লাগবে বা বেশি সময়ে কম; ওই পরিস্থিতিতে নিজেকে মানিয়ে নিয়ে খেলব।’ যোগ করেন বিজয়।