ভারত-পাকিস্তানে বিমান হামলা ও পাল্টা হামলা যখন তুঙ্গে, তখন ‘শান্তি প্রতিষ্ঠার আশায়’ ভারতীয় উইং কমান্ডার অভিনন্দনকে মুক্তি দিয়েছে পাকিস্তান।
শুক্রবার বিকেলে সীমান্ত দিয়ে উইং কমান্ডার অভিনন্দনকে মুক্তি দেয়া হয়। এই পদক্ষেপের মাধ্যমে আদৌ কি ভারত-পাকিস্তানের চলমান অস্থিরতা কিছুটা হলেও প্রশমন হবে?
বৃহস্পতিবার পাকিস্তানের পার্লামেন্টের যৌথ অধিবেশনে ইমরান খান জানান, তিনি ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে শান্তি প্রস্তাবের বিষয়ে কথা বলতে চেয়েও ব্যর্থ হয়েছেন।
তবে ওই অধিবেশনে কাশ্মীরের সাথে দীর্ঘদিনের চলমান সংকট মীমাংসায় ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে আহ্বান জানিয়েছেন ইমরান খান।
ইমরান আলোচনার জন্য যে প্রস্তাব তুলেছেন তাতে ভারতের সায় দেওয়ার সম্ভাবনা কতোটা রয়েছে?
এ ব্যাপারে বিশেষজ্ঞরা ধারণা করছেন, ভারতের প্রত্যক্ষভাবে এখনই সায় দেয়ার সম্ভাবনা না থাকলেও শেষ পর্যন্ত আলাপ-আলোচনার মধ্য দিয়েই এর সমাপ্তি টানতে হবে। কারণ দু’পক্ষের কারো জন্যই এই যুদ্ধ ইতিবাচক নয়।
‘এছাড়া গোটা দক্ষিণ এশিয়ায় এমনকি ভারত-পাকিস্তানের ভেতরেও যুদ্ধের বিরুদ্ধে মানুষের যে মনোভাব প্রকাশ হয়েছে তাতে কোনো পক্ষ খুব বেশি অগ্রসর হতে পারবে না। এছাড়া ভারতের পাইলটকে মুক্তি দেয়ার পর একটা আলোচনার একটা পথ তো সামনে আসছেই।’
এ বিষয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক আশেকা ইরশাদ চ্যানেল আই অনলাইনকে বলেন, পাকিস্তানে আটক ভারতীয় পাইলট অভিনন্দনকে মুক্তি দেওয়ার পরে উত্তেজনাতো অবশ্যই কমবে। তবে সেটা নাটকীয়ভাবে একেবারে নাই হয়ে যাবে না। এতদিন কাশ্মীর ইস্যুতে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে যে ক্রমবর্ধমান সংকট দেখা যাচ্ছিলো সেটার বৃদ্ধি হয়তো কিছুটা কমে আসবে। কিন্তু দুই দেশের মধ্যে আলোচনাটা শুরু হবে কিনা সেটা এখনই বলা যাচ্ছে না। উত্তেজনা কিছুটা হলেও প্রশমিত হবে এই প্রক্রিয়ায়।
বুধবার ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে আকাশপথে সামরিক হামলার সময় ভারতের একটি মিগ-২১ যুদ্ধবিমান পাকিস্তানের ভূখণ্ডে পড়ে যায়। তারপরই সেই বিমানের পাইলট উইং কমান্ডার অভিনন্দনকে নিজেদের হেফাজতে নেয় পাকিস্তান।
এরপর বৃহস্পতিবার বিকেলে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান জানিয়ে দেন, দু’দেশের মধ্যে শান্তিপ্রক্রিয়াকে আরও ত্বরান্বিত করতে অভিনন্দনকে শুক্রবার ছেড়ে দেবে পাকিস্তান। তার এই ঘোষণার পরিপ্রেক্ষিতে শুক্রবার মুক্তি পান ভারতীয় এই পাইলট।