এসেছে নতুন নোট তাকে ছেড়ে দিতে হবে স্থান। হ্যাঁ, পুরানো ৫০০ ও ১০০০ রুপির নোট অচল ঘোষণার পর গোলাপি রঙের নবাগত দু’হাজারি এবং ৫’শ রুপির নোট পেতে হুলুস্থুল চলছে ভারত জুড়ে।
চাকরি থেকে ছুটি নিয়ে পুরানো রুপি বদলে নতুন নোট আনতে ব্যাংকে ছুটছে ভারতবাসী। ব্যাংকেও তাই ভীড় ঠাসাঠাসি।
পুরানো রুপি নিয়ে কী করা যেতে পারে এরকম ছবি নিয়ে চলছে হই-হুল্লোর-হাসাহাসি।
পরিচয়পত্র সঙ্গে করে ব্যাংকে যাচ্ছে সবাই। গ্রাহক সামাল দিতে ব্যাংকের ভেতর থেকে রাজপথে চেয়ার-টেবিল নিয়ে বসে গিয়েছে ব্যাংকাররা।
ব্যাংকের সামনে লাইন-বেলাইনে দাঁড়িয়ে হাতে পাওয়া কড়কড়ে নতুন গোলাপি নোটের সেলফি বন্যায় টুইটম্বুর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক,টুইটার। গোলাপির সঙ্গে সেলফি তোলা থেকে বাদ যাননি এনডিটিভি’র সাংবাদিক উমাশঙ্কর।
এরকম উৎসব-উত্তেজনার পরিস্থিতির মাঝে কেউ কেউ আবার দারুণ ক্ষেপে গিয়ে করছেন হুংকার।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি পুরানো নোট বাতিল ঘোষণা করায় বেজায় ক্ষেপেছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জী।
মোদি সরকারের পদক্ষেপের সমালোচনা করে তিনি বলেন, ‘দেশে অর্থনৈতিক জরুরি অবস্থা জারি হয়েছে ৷ এক দুর্নীতি ঢাকতে আর এক দুর্নীতি করা হচ্ছে৷ ব্যাংক কটা ১০০ রুপির নোট দেয়? ব্যাংক থেকেও তো জাল নোট দেওয়া হয়৷ বাতিল ঘোষণার আগে নিজের রুপি তোলার উদাহরণ টেনে বলেন, ‘আমিই তো ৫ হাজার রুপি তুলেছি৷ সবকটা ৫০০ রুপির নোট দিয়েছে৷ এমন অবস্থা ঠাকুরের ফুল কেনার টাকা নেই ৷’
মোদি’র সরাসরি নাম উচ্চারণ না করলেও প্রধানমন্ত্রীকে কটাক্ষ করে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রীর বলেন, ‘দেশে আর্থিক বিপর্যয় চলছে৷ হঠাৎ ওনার বাই উঠল। একটা কিছু করে দেখাতে হবে আর এমন কাজ করল৷ সাধারণ মানুষ তাতে সমস্যায় জর্জরিত, সেই খেয়াল নেই৷ কেন্দ্রের এধরণের সিদ্ধান্তে আমি ব্যথিত৷ যারা মা-মাটি মানুষকে সমস্যায় ফেলে৷ তারা নেতৃত্ব দেওয়ার যোগ্য নয়৷’
একইসঙ্গে আসন্ন উত্তরপ্রদেশ নির্বাচনে প্রভাব ফেলতেই প্রধানমন্ত্রীর এই পদক্ষেপ বলে অভিযোগ করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷
৮ নভেম্বর মঙ্গলবার মধ্যরাত থেকে ভারতে প্রচলিত ৫০০ এবং ১ হাজার রুপির নোট নিষিদ্ধ করা হয়। অপ্রত্যাশিতভাবেই দেশটির প্রধানমন্ত্রী নোরেন্দ্র মোদি বিশেষ এক ঘোষণায় এমন নির্দেশনা দেন।
ঘোষণায় মোদি বলেন, কালো টাকার হাত থেকে অর্থনীতিকে বাঁচানোর জন্য এই পদক্ষেপ জরুরি ছিলো।