ভারতের বিহার, উত্তর প্রদেশ ও পশ্চিমবঙ্গে ভূমিকম্পে ৪১ জন মারা গেছে বলে দেশটির টেলিভিশন চ্যালেন এনডিটিভির প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে। উৎপত্তিস্থল নেপালের লামজুমে ৭.৯ মাত্রার এই তীব্র ভূমিকম্পে ভারতের উত্তরাংশসহ রাজধানী দিল্লীতেও কম্পন অনুভূত হয়।
নিহতদের মধ্যে বিহারে ২৮ জন, উত্তর প্রদেশে ১০ জন এবং পশ্চিমবঙ্গে ৩ জন।
শনিবার সকাল ১১টা ৪৫ মিনিটে হওয়া এই ভূমিকম্পের উৎপত্তি নেপালের পোখরাও শহরের ৮০ কিলোমিটার দূরে লামজুমে। ৩০ সেকেন্ড স্থায়ী এই ভূমিকম্প ভূপৃষ্ঠের ৩১ কিলোমিটার নিচ থেকে উৎপত্তি হয়েছিলো বলে জানা গেছে।
ভারতের উত্তর প্রদেশ, দিল্লী, পশ্চিমবঙ্গ, কলকাতাসহ ভারতের বিভিন্ন এলাকায় তীব্র ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী দেশটির মন্ত্রী এবং শীর্ষ কর্মকর্তাদের সাথে পরিস্থিতি মূল্যায়নের জন্য একটি উচ্চপর্যায়ের বৈঠক আয়োজন করেছেন।
পশ্চিমবঙ্গের মালদায় ভূমিকম্পে একটি স্কুলভবন ক্ষতিগ্রস্থ হলে ৪০
জন শিশু শিক্ষার্থী আহত হয়েছে। সকালে স্কুলটির একটি সিড়ি ধসে পড়লে ছেলে ও
মেয়ে শিশুরা আহত হয়।
মোদীর এক টুইটার বার্তায় জানান, “আমরা আরো বেশি তথ্য সংগ্রহ এবং আক্রান্তদের কাছে পৌঁছানোর চেষ্টা করছি। আমাদের দেশে এবং নেপালে এই কার্যক্রম চালাচ্ছি।”
নরেন্দ্র মোদী নেপালের প্রধানমন্ত্রী সুশীল কৈরালার সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করছেন বলে জানান। সুশীল কৈরালা রাষ্ট্রীয় সফরে দেশের বাইরে থাকায় দায়িত্বশীল কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলেছেন।
ভূমিকম্পের বিষয়ে সতর্ক করতে ভুটানে অবস্থিত ভারতীয় দূতাবাসেও কথা বলেছেন তিনি।
ভারতের দিল্লী, কলকাতা, রাচিঁ, গোহাটা, পাটনা, জয়পুর , ভুপালে, চান্দিগড়, নাগপুর, ভূবনেশ্বর, রাজেস্থান ও পশ্চিমবঙ্গসহ বেশ কিছু এলাকায় ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে। এসব এলাকার অধিবাসীদের অনেকেই ভয়ে রাস্তায় নেমে আসেন।