রাশিয়ার বানানো করোনা ভ্যাকসিন স্পুটনিক ফাইভের জরুরি ব্যবহারের অনুমোদন দিয়েছে ভারতের ওষুধ নিয়ন্ত্রক সংস্থা ডিসিজিআই।
সম্প্রতি ভারতে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ অনেক বেড়ে গেছে। ভারতে ওষুধ নিয়ন্ত্রকের অনুমোদন পাওয়া এটি তৃতীয় ভ্যাকসিন। এর আগে জানুয়ারিতে ভারতের সেরাম ইন্সটিটিউটের বানানো কোভিশিল্ড এবং ভারত বায়োটেকের বানানো কোভ্যাক্সিন অনুমোদন পায়।
এক বিবৃতিতে রাশিয়ান ডাইরেক্ট ইনভেস্টমেন্ট ফান্ড(আরডিআইএফ) জানিয়েছে, ভারত বিশ্বের ৬০তম দেশ যারা দুই ডোজের ভ্যাকসিনটির অনুমোদন দিলো।
সেখানে আরো বলা হয়, বিশ্বব্যাপী সরকারি নিয়ন্ত্রকদের কাছ থেকে অনুমোদন প্রাপ্তির ভিত্তিতে স্পুটনিক ফাইভের অবস্থান দুই নম্বরে।
ভারতের ডা. রেড্ডির হাতে তৈরি হওয়া এই ভ্যাকসিনটির কার্যকারিতা মর্ডানা ও ফাইজারের ভ্যাকসিনের পরেই ৯১.৬ শতাংশ কার্যকর। গত ১৯ ফেব্রুয়ারি ভ্যাকসিনটির জরুরি ব্যবহারের আবেদন করেন রেড্ডি। পরে সোমবার সেটি ব্যবহারের অনুমতি মেলে।
ভারতে এখন করোনাভাইরাসের সংক্রমণ অনেক তীব্র। যুক্তরাষ্ট্রের পরে সেখানে ১ কোটি ৩৫ লাখের বেশি মানুষ আক্রান্ত। গত ১৬ই জানুয়ারি থেকে ভারতে করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন বিতরণ শুরু হয়েছে। এরই মধ্যে বিতরণ করা হয়েছে ১০ কোটির বেশি ডোজ।
কিন্তু ভারতের বিভিন্ন অংশে নতুন করে করোনার ঢেউ দেখা দিচ্ছে আর অনেক রাজ্য সরকার জানিয়েছে তাদের ভ্যাকসিন মজুদ কমে আসছে।
সোভিয়েত মহাকাশ স্যাটেলাইটের নামানুসারে বানানো স্পুটনিক ফাইভ ভ্যাকসিন করোনাভাইরাসকে দুর্বল করে দেয়। সেটা শরীরের বিভিন্ন অংশে প্যাথজেন দিয়ে রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতাও বাড়ায়। ১৮ থেকে ৯৯ বছর বয়সী ১৬০০ মানুষের উপরে এর পরীক্ষণ চলছে।
ভারত এই ভ্যাকসিন বানানোর কেন্দ্র হিসেবে কাজ করছে। সেখানে বছরে ৮৫০ মিলিয়ন ডোজ ভ্যাকসিন তৈরি হবে। যা বিতরণ করা হবে বিশ্বের ৪২৫ মিলিয়ন মানুষের মধ্যে।