ভারতের নতুন কৃষি আইনের বিরুদ্ধে বিক্ষোভরত কৃষকরা পাঞ্জাব, হরিয়ানা উত্তর প্রদেশ, মহারাষ্ট্র ও কর্ণাটকের পাশে ‘রেল থামাও’ আন্দোলন কর্মসূচি পালন করছে।
দুপুরে শুরু হওয়া এই কর্মসূচি চলবে বিকেল ৪টা পর্যন্ত। তবে সেটা শান্তিপূর্ণভাবে হবে বলেই জানিয়েছেন কৃষকরা।
পূর্ব সতর্কতার অংশ হিসেবে বেশ কিছু জায়গায় ট্রেন চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে। পাঞ্জাব ও হরিয়ানাতে সরকারি রেলওয়ে পুলিশ ও রাজ্য পুলিশ দিয়ে বাড়ানো হয়েছে নিরাপত্তা।
গত নভেম্বর থেকে দিল্লির পাশে গাজিয়াবাদে রাস্তা বন্ধ করে কৃষকরা আন্দোলন করে যাচ্ছে। সেই এলাকাজুড়েও নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে।
হরিয়ানায় সোনিপাত, আম্বালা এবং জিন্দ এলাকা পুরোপুরি বন্ধ। নারীসহ অনেক অনেক বিক্ষোভকারী আম্বালা, কুরুক্ষেত্র, পানিপাত, পঞ্চকুলা ও ফাতেহাবাদ জেলায় রেললাইনের উপর অবস্থান নিয়েছে।
কৃষকনেতারা জানিয়েছে, পুলিশ আমাদের ‘রেল থামাও’ আন্দোলনের জন্য অনুমতি দেয়নি। পুলিশ জানিয়েছে, এই আন্দোলনের জন্য কোনো অনুমতি দেওয়া হবে না। আর আমরা কেন পুুলিশের অনুমতির অপেক্ষা করবো, দেশব্যাপী কৃষক ইউনিয়নতো এই কর্মসূচি ঘোষণা করেছে।
গত সপ্তাহে কৃষক ইউনিয়নগুলির সমস্টি- সংযুক্ত কিষান মোর্চা নতুন কৃষি আইন বাতিলের দাবি পূরণের জন্য চাপ দিতে দেশব্যাপী রেল অবরোধ ঘোষণা করে।
সংসদে সংখ্যাগরিষ্ঠতার জোরে তর্কবিতর্ক এড়িয়ে বিতর্কিত কৃষি বিল পাস করিয়ে নেয় মোদি সরকার। তারপর গত ২৭ সেপ্টেম্বর রাষ্ট্রপতি স্বাক্ষর করলে তা আইনে পরিণত হয়।
নতুন আইনে ভারতে কৃষিপণ্য বিক্রয়, মূল্য নির্ধারণ ও গুদামজাত করণের নিয়মে পরিবর্তন আসবে। যে নিয়ম ভারতের কৃষকদের গত কয়েক দশক ধরে মুক্ত বাজার থেকে রক্ষা করেছে।
কৃষকরা চাইলে যে কারও কাছে তাদের পণ্য বিক্রি করতে পারবে। আগে যা কেবলমাত্র সরকার অনুমোদিত এজেন্টদের কাছেই বিক্রি করতে হতো।
কিন্তু নতুন কৃষি আইনের বিরোধিতায় সারা ভারতে অচলাবস্থা তৈরি হবে, তা আঁচ করতে পারেনি কেন্দ্রীয় সরকার। নতুন আইনে কৃষকদের স্বার্থে আঘাত আসবে আশঙ্কা থেকেই বিক্ষোভ চালিয়ে যাচ্ছে কৃষকরা।