বাংলাদেশের সবজিসহ কৃষি পণ্য ভারতে রপ্তানি করার পরামর্শ দিয়েছেন অর্থ ও পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী এম এ মান্নান। তিনি বলেছেন, ভারতের অর্থনৈতিক বাজার অনেক বড়। তারা বাংলাদেশে বিভিন্ন পণ্য বিক্রয় করে, বাংলাদেশকেও সেই সুযোগ কাজে লাগাতে হবে। সবজি, মাছসহ কৃষি পণ্য রপ্তানি করা যেতে পারে। এ ক্ষেত্রে কাঠামোগত দিক, সড়ক পথের সুবিধা, কাস্টমস, বিএসটিআইসহ আরো সুবিধা নিয়ে যৌথভাবে ব্যবসা বাড়াতে হবে। এ উদ্যোগ বাংলাদেশের উন্নয়নের ক্ষেত্রে বড় ভূমিকা রাখবে বলে মনে করেন অর্থ ও পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী।
রোববার রাজধানীর প্যান প্যাসিফিক হোটেল সোনারগাঁওয়ে এগ্রিকালচারাল প্রোসেসড ফুড প্রোডাক্টস এক্সপোর্ট ডেভলোপমেন্ট অথরিটি কর্তৃক আয়োজিত ‘ইন্ডিয়া এগ্রো প্রোডাক্টস বায়ার-সেলার মিট-২০১৮’ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
এম এ মান্নান বলেন, বাংলাদেশের উন্নয়নে ভারত বড় ভূমিকা রাখছে। তাই ভারতের সম্পর্কে কোনো ধরণের সংশয় থাকার প্রশ্নই আসে না। ভারতের সাথে আমাদের সম্পর্ক কৃত্রিম। তারা প্রাকৃতিক, ভৌগোলিক, সাংস্কৃতিক ও ঐতিহ্যগতভাবে আমাদের বন্ধু।
তিনি আরো বলেন, আমরা চিকিৎসা, পড়াশুনার জন্য ভারতে যাই। তারাও আমাদের এখানে তীর্থের জন্য আসেন। ভারতে সাথে আমাদের যোগাযোগ আরো সহজ এবং ভিসা পেতে দুর্ভোগ কমানো যায় সে লক্ষ্যে কাজ করছি। তবে সম্পর্কের ক্ষেত্রে আমলাতন্ত্র কমাতে হবে, সন্দেহ কমাতে হবে, বন্ধুর মত, ভাইয়ের মত সম্পর্ক তৈরি করতে হবে। খোলা মনে বন্ধুত্ব করতে হবে।
‘আমাদের দেশের সঙ্গে ব্যবসার জন্য বন্ধু রাষ্ট্রগুলোর চলাচলের সুবিধার্থে সড়ক পথ, নদী এবং আকাশ পথ খুলে দিয়েছি। আমরা যৌথভাবে সুবিধা নিতে চাই।’
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতের হাইকমিশনার হর্ষবর্ধন শ্রিংলা বলেন, বিশ্বের প্রতিনিধিত্বকারী দশটি খাবার সর্বরাহকারী দেশের মধ্যে ভারত একটি। ভারতের ব্যবসায়ীরা বাংলাদেশের প্রয়োজনীয় কৃষিজাত পণ্য সরবরাহের ক্ষেত্রে এক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে। আমরা বাংলাদেশের পাশাপাশি এবং সাথে সাথে আছি
ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআইরর সভাপতি শফিউল ইসলাম মহিউদ্দিন বলেন, ভারতের সাথে আমাদের সফল ব্যবসায়িক সম্পর্ক রয়েছে। তাদের সাথে ব্যবসা আরো বাড়ানোর উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের গ্রাম্য এলাকা বিশেষ করে রাজশাহী, রংপুর এলাকাগুলোকে মঙ্গা এলাকা বলা হতো। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উন্নয়নের ছোয়ায় এসব এলাকা এখন সফলতার সাথে কৃষি পণ্য উৎপাদন করছে।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, ভারত-বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (আইবিসিসিআই) সভাপতি আবদুল মাতলুব আহমাদ প্রমুখ।