ভারতের বিতর্কিত কৃষি আইন বাতিলের দাবিতে অনির্দিষ্টকালের জন্য পালাক্রমে অনশন ধর্মঘট শুরু করেছে আন্দোলনরত কৃষকরা। গত নভেম্বর থেকে দিল্লি সীমান্ত ঘিরে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে তারা। কৃষি আইন বাতিলের দাবিতে তাদের অবস্থান এখন আরও দৃঢ়।
পাঁচ দফা আলোচনার প্রচেষ্টা ব্যর্থ হওয়ায় রোববার সরকারের পক্ষ থেকে আন্দোলনরত কৃষকদের কাছে আরো একটি আলোচনার জন্য নির্ধারিত দিন চাওয়া হয়।
এইমাসের শুরুতে দেশব্যাপি বন্ধ ডাকার পরে এই পালাক্রমে অনশন ধর্মঘট কৃষকদের তৃতীয় বৃহৎ কর্মসূচি। বিরোধী দল, ট্রেড ইউনিয়ন এই সব কর্মসূচিকে সমর্থন দিচ্ছে।
বারবার সরকারের পক্ষ থেকে নূন্যতম সমর্থন মূল্য (এমএসপি) নিশ্চিত করার কথা বলা হলেও আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে কৃষকরা। কৃষকদের বক্তব্য, আইনটি বাতিল চান তারা।
স্বরাজ ইন্ডিয়ার প্রধান যোগেন্দ্র যাদব বলেন, পালাক্রমের অনশন ধর্মঘটে একসঙ্গে ১১ জন কৃষক ২৪ ঘণ্টার জন্য অনশন করবে। পরে আবার আরেকদল অনশন করবে।
৪০ কৃষক নেতার কাছে পাঠানো এক চিঠিতে সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, সমস্যার সমাধান খুঁজতে খোলা মনে সব ধরনের প্রচেষ্টা চালানো হচ্ছে। কৃষকদের তুলে ধরা বিষয়গুলোও সমাধানের চেষ্টা করা হচ্ছে।
বুধবার কৃষক দিবসে দেশের সব মানুষকে যারা তিনবেলা আপনার টেবিলে খাবার তুলে দেন তাদের সম্মানে একবেলা না খাওয়ার অনুরোধ জানিয়েছেন কৃষকরা। দিল্লি সীমান্তের কাছে কৃষকদের চলমান আন্দোলনের কারণে দিল্লি মীরুত হাইওয়ে আংশিক বন্ধ আছে।
বিতর্কিত নতুন কৃষি আইনে ভারতে কৃষিপণ্য বিক্রয়, মূল্য নির্ধারণ ও গুদামজাত করণের নিয়মে পরিবর্তন আসবে। যে নিয়ম ভারতের কৃষকদের গত কয়েক দশক ধরে মুক্ত বাজার থেকে রক্ষা করেছে।
কৃষকরা চাইলে যে কারও কাছে তাদের পণ্য বিক্রি করতে পারবে। আগে যা কেবলমাত্র সরকার অনুমোদিত এজেন্টদের কাছেই বিক্রি করতে হতো।
নতুন আইনে কৃষকদের স্বার্থে আঘাত আসবে আশঙ্কা থেকেই গত নভেম্বর থেকে বিক্ষোভ চালিয়ে যাচ্ছে কৃষকরা।