আগামী ১৫ অক্টোবর ভারতে আটক বিএনপি নেতা সালাউদ্দিনের আহমেদের রায়ের তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে বলে জানিয়েছে ভারতের শিলং কোর্ট। ভারতের পররাষ্ট্রনীতির আইন মোতাবেক বৈধ কাগজ-পত্র না থাকায় ভারতে অনধিকার প্রবেশের দায়ে ভারতের ফরেন অ্যাক্ট-১৯৪৬ সেকশন-১৪ অনুযায়ী সালাউদ্দিনের আহমেদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়।
বাংলাদেশের রাজনৈতিক দল বিএনপি নেতা ও সাবেক মন্ত্রী সালাউদ্দিনের আহমেদ ২০১৫ সালের ১২ মে ভারতে আটক হন। আটক হওয়ার দীর্ঘ প্রায় তিন বছর পর জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ওই রায় প্রদান করতে যাচ্ছেন।
ভারতীয় গণমাধ্যম বলছে ২৮ সেপ্টেম্বর রায় ঘোষণার তারিখ থাকলেও কোর্টে জজ উপস্থিত না থাকায় তারিখ পিছিয়ে ১৫ অক্টোবর নির্ধারণ করা হয়েছে। এর আগে ১৩ আগস্ট রায়ের দিন ধার্য করা হলেও তারিখ পিছিয়ে ২৮ সেপ্টেম্বর করে দেশটির আদালত।
উল্লেখ্য, ২০১৫ সালের ১১মে গ্লোফ লিংক এরিয়া থেকে ‘সন্দেহজনক এবং লক্ষ্যহীন’ ঘুরতে থাকা অবস্থায় শিলং পুলিশ সালাউদ্দিনের আহমেদকে আটক করেন। অসুস্থতার কারণে তাকে শিলং এর একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
ভারতের দণ্ডবিধিতে অনুপ্রবেশের মামলায় সর্বোচ্চ ৫ বছরের সাজা এবং অর্থদণ্ডের বিধান রয়েছে বলে শিলংয়ের আইনজীবীরা জানিয়েছেন। রায়ের আগে তার বিরুদ্ধে ইতিমধ্যে দশ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করেছে আদালত।
২০১৫ সালের ১০মার্চ সালাউদ্দিন আহমেদ অপহরণের শিকার হয়েছে বলে পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়। সালাউদ্দিন আহমেদ এক স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দীতে বলেন তিনি অপহরণ হয়েছিলেন। ভারতে যাওয়ার ব্যাপারে তিনি কিছুই জানেন না বলেও দাবি করেন তিনি।
সালাউদ্দিন আহমেদ বিএনপির সরকারের আমলে ২০০১ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত যোগাযোগ প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন।