ভারতের বিহার রাজ্যের বৈশালি জেলায় দিল্লিগামী একটি ট্রেন লাইনচ্যুত হয়ে এ পর্যন্ত ৭ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। আহত হয়েছে আরও ২৪ জন।
রোববার স্থানীয় সময় ভোর ৩টা ৫২ মিনিটের দিকে বৈশালি জেলার শাহাদাই বুজুর্গের কাছে সীমাঞ্চল এক্সপ্রেসের ১১টি বগি লাইনচ্যুত হয়ে লাইনের বাইরে পড়ে গেলে এ হতাহতের ঘটনা ঘটে।
রেল কর্তৃপক্ষের সূত্রে এনডিটিভি জানিয়েছে, এই সুপারফাস্ট ট্রেনটি বিহারের যোগবাণী থেকে দিল্লির আনন্দ বিহার টার্মিনালের উদ্দেশ্যে ৫৫ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা গতিতে চলছিল।
পাটনা থেকে প্রায় ৩০ কিলোমিটার দূরে শাহাদাই বুজুর্গের কাছে আসতেই তিনটি কোচ লাইন থেকে ছিটকে সরে উল্টে যায়। পড়ার সময় সর্বোচ্চ গতিতে থাকায় একেবারে ধ্বংস হয়ে যায় বগি তিনটি। ওই বগিগুলোর টানেই আরও ৮টি বগি লাইনচ্যুত হয়ে পড়ে।
মৃতের সংখ্যা বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করছে পুলিশ।
পূর্ব-মধ্যাঞ্চল রেলের মুখপাত্র রাজেশ কুমার জানিয়েছেন, উল্টে পড়া বগিগুলোর মধ্যে তিনটি স্লিপার কোচ ছিল।
ঘটনাস্থলের কাছাকাছি দু’টি শহর শোনপুর ও বারাউনি থেকে চিকিৎসকদের একটি দলকে ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়েছে। এছাড়া জাতীয় দুর্যোগ মোকাবেলা বাহিনীর দু’টি দলও ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে।
প্রাথমিক তদন্তে দেখা গেছে, ট্রেনটির ইঞ্জিন প্রথম কয়েকটি বগিসহ আলাদা হয়ে সামনে চলে গিয়েছিল। পেছনে ছুটে যাওয়া বগিগুলো পরে লাইনচ্যুত হয়ে সবগুলোই পড়ে যায়। রেললাইনে থাকা একটি ফাঁটল থেকেই দুর্ঘটনাটি ঘটেছে বলে প্রাথমিক তদন্ত অনুসারে জানিয়েছে বিহার রেলওয়ে।
দুর্ঘটনার পর রেল মন্ত্রণালয় বেশ কয়েকটি হেল্পলাইন নম্বর প্রকাশ করেছে। এক টুইটবার্তায় ভারতের রেলমন্ত্রী পীয়ূষ গোয়েল দুর্ঘটনার বিষয়টি নিশ্চিত করে উদ্ধার ও ত্রাণকার্য চলছে বলে জানান।
Rescue and relief operations are on for derailment of 9 coaches of Jogbani-Anand Vihar Terminal Seemanchal express at Sahadai Buzurg, Bihar.
Help lines:
Sonpur 06158221645
Hajipur 06224272230
Barauni 06279232222— Piyush Goyal Office (@PiyushGoyalOffc) February 3, 2019
ওই লাইনে আপাতত সবগুলো যাত্রীবাহী ট্রেন সিডিউল বাতিল করা হয়েছে।
এ দুর্ঘটনার একদিন আগেই সরকার দাবি করেছিল, বর্তমান সরকারের মেয়াদে ভারতের রেল ব্যবস্থা অনেক উন্নত ও আগের চেয়ে অনেক বেশি নিরাপদ হয়েছে। শুক্রবার পার্লামেন্টে অন্তর্বর্তী বাজেট উপস্থাপন করতে গিয়ে রেলমন্ত্রী এ-ও বলেছিলেন, ভারতীয় রেলওয়ে তার ইতিহাসের সবচেয়ে নিরাপদ বছরটি কাটিয়েছে।