ভারতে হুয়াওয়ের দীর্ঘমেয়াদী কৌশলের কথা জানিয়ে এই চীনা প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা জে চেন বলেছেন: ভারত সরকারের সাথে জড়িত হওয়ার যে পদ্ধতি আমরা গ্রহণ করেছি তা অত্যন্ত স্বচ্ছ, প্রত্যক্ষ ও সহযোগিতামূলক। এছাড়া আমরা সমস্ত নিয়মকানুন মেনে চলার জন্য পূর্ণ প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
মঙ্গলবার নয়াদিল্লিতে এক সাক্ষাতকারে তিনি এসব কথা বলেন।
যুক্তরাষ্ট্র ও কয়েকটি দেশে সরঞ্জাম বিক্রি বাধা থাকায় চীনা টেক জায়ান্ট হুয়াওয়ে এবার নজর দিয়েছে ভারতের বাজার ধরতে। গ্রাহকের সংখ্যা অনুসারে চীনের বাইরে বৃহত্তম বাজার ভারত। এমন প্রেক্ষাপটে হুয়াওয়ের ফাইভ-জি গিয়ারের জন্য গ্রাহক খুজঁতে ভারতে বিনিয়োগের ওপর জোর দিচ্ছে বলে জানিয়েছেন হুয়াওয়ের প্রধান নির্বাহী।
ভারত সরকার এখনও যুক্তরাষ্ট্রের পথ অনুসরণ চাইনিজ কোম্পানি বন্ধ করে দেয়নি।
ফাইভ-জি নেটওয়ার্ক সরঞ্জাম তৈরির বিশ্বের সবচেয়ে বড় এই প্রতিষ্ঠান ভারতে বিনিয়োগ করতে সময়ের অপেক্ষা করছে। যুক্তরাষ্ট্র হুয়াওয়ের বিরুদ্ধে যে গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগ দিয়েছিল তা ভারত সরকারের সাথে একসঙ্গে কাজ করে প্রতিহত করতে চায় হুয়াওয়ে।
ফাইভ-জি’র ক্ষেত্রে ভারত এখনো চীনের চেয়ে পিছিয়ে আছে। দ্রুত গতির নেটওয়ার্ক, কারখানার অটোমেশিনের উন্নয়ন, স্বয়ংক্রিয় চালক এবং কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার জন্য ফাইভ-জি গুরত্বপূর্ণ।
হুয়াওয়ের পক্ষ থেকে বলা হয়, ভারত সরকার ইতোমধ্যে ফাইভ-জি নিয়ে নিলামের আয়োজন করতে যাচ্ছে। ভারতের ওয়্যারলেস ইকোসিস্টেম ও প্রযুক্তিগত উন্নয়নের জন্য হুয়াওয়ের সরঞ্জাম খুবই গুরত্বপূর্ণ বলে জানিয়েছেন জে চেন।
জে চেন বলেন: হুয়াওয়ের অবর্তমানে যদি ওয়্যারলেস ইকোসিস্টেম ভেঙে যায়, আমি মনে করি এই ক্ষতি শুধু আর্থিক ক্ষতি নয় বরং প্রযুক্তিগত উন্নয়নের ক্ষেত্রেও ক্ষতির সম্মুখিন হবে।
অন্যদিকে যুক্তরাষ্ট্র হুয়াওয়ের সকল সরঞ্জাম নিষিদ্ধ করতে চাপ প্রয়োগ করে যাচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্যমন্ত্রী উইলবার রস বলেন: আমরা আশা করি যে, আমাদের ভূ-রাজনৈতিক অংশীদার ভারত নিরাপত্তার ঝুঁকির মুখে পড়বে না।
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং গত সপ্তাহে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে দু’দেশের বাণিজ্য নিয়ে আলোচনা করেন। তবে সেখানে হুয়াওয়ের কোনো বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়নি বলে জানিয়েছেন ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী।