চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ
Channelionline.nagad-15.03.24

ভারতের নির্বাচন: ‘ঘুষের’ ৭০০ কোটি টাকা উদ্ধার

ভারতজুড়ে প্রায় সাড়ে ৫শ’ কোটি রুপি বা ৮ কোটি মার্কিন ডলার মূল্যের নগদ অর্থ, মদ, নেশাদ্রব্য, স্বর্ণালঙ্কারসহ অন্যান্য দ্রব্যাদি জব্দ করেছে ভারত পুলিশ। বাংলাদেশি মুদ্রায় যা ৭শ’ কোটি টাকার কাছাকাছি।

ভারতের জাতীয় নির্বাচন বা লোকসভা নির্বাচনের প্রাথমিক ভোট শুরু হতে যাচ্ছে ১১ এপ্রিল থেকে। চূড়ান্ত ভোট ১৯ মে। এ উপলক্ষে পুরো দেশজুড়ে নির্বাচন সংশ্লিষ্ট তদন্ত ও অভিযানের মধ্য দিয়ে এসব দ্রব্য পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছে দেশটির নির্বাচন কমিশন।

১০ মার্চ থেকে ২৫ মার্চ পর্যন্ত মাত্র দুই সপ্তাহে এত বিপুল পরিমাণ অর্থের সম্পদ জব্দ করা হয়েছে। এগুলো নির্বাচনপূর্ব ‘ঘুষ’ ও ‘উপহার’ হিসেবে বিনিময় হচ্ছিল বলে জানানো হয়েছে।

ভারতের স্থানীয় ও জাতীয় নির্বাচনে উপহারের নামে দামি দামি সরঞ্জাম থেকে নগদ অর্থ ঘুষ দেয়ার বিষয়টি বহু আগে থেকেই চলে আসছে। দল ও প্রার্থীর পক্ষ থেকে ভোট সংশ্লিষ্ট কর্মী এবং ভোটারদেরকে অর্থ, মদ, স্বর্ণালঙ্কার, এমনকি টিভি, ল্যাপটপ দেয়ারও প্রচুর নজির রয়েছে।

তাই প্রতিবারই নির্বাচনের আগে প্রত্যেকটি নির্বাচনী এলাকায় পুলিশ মোতায়েন করা হয় এবং তাদেরকে প্রায়ই রাস্তায় গাড়ি থামিয়ে তল্লাশি নিতে দেখা যায়। এবারও তার ব্যতিক্রম হয়নি।

এ বছরের তল্লাশির প্রতিবেদন প্রকাশ করে বুধবার ভারতের নির্বাচন কমিশন জানায়, পুলিশ এবার শুধু নগদ অর্থই পেয়েছে ২ কোটি ২০ লাখ ডলারের বেশি। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি নগদ অর্থ পাওয়া গেছে অন্ধ্রপ্রদেশ থেকে (৭৯ লাখ ডলার)। এ রাজ্য থেকে আরও এক কোটি ৩৫ লাখ ডলারের মদ জাতীয় দ্রব্য ও এক কোটি ৯২ লাখ ডলারের অন্যান্য সামগ্রী বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।

ভারতের নির্বাচনে ঘুষের ছড়াছড়ি নিয়ে পরিচালিত বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে, ঘুষ আসলে ভোট পেতে সাহায্য করে না। কিন্তু তবুও ঘুষের এই প্রথা বন্ধ হচ্ছে না।

এই অভিযানের মধ্য দিয়ে বোঝা গেল, এখনো ভারতের নির্বাচন, নগদ অর্থ আর দামি উপহারের পারস্পরিক পরজীবী সম্পর্ক ব্যাপকভাবে বিদ্যমান।