বিশ্বের সবচেয়ে বড় গণতান্ত্রিক দেশ ভারতের সাধারণ নির্বাচনে দ্বিতীয়বারের মত ভারতীয় জনতা পার্টি
বিশাল জয় লাভ করে সরকার গঠন করতে যাচ্ছে। ধর্ম নিরপেক্ষ অসাম্প্রদায়িক ভারতের ভাবমূর্তি বিজেপি এর আগে সরকার গঠন করার পরপরই প্রশ্নের মুখে পড়েছিল। তবে সেই অবস্থা কাটিয়ে এবারও ভারতের জনগণ তাদের বিজয়ী করেছে। এতে অসাম্প্রদায়িক মননের মানুষদের ক্ষতির সম্ভাবনা থাকলেও বিদ্যমান বাস্তবতা অস্বীকার করার উপায় নেই।
উপমহাদেশের রাজনীতিতে ধর্মীয় উন্মাদনা প্রকট আকার ধারণ করেছে। এই চিত্র পাকিস্তানের রাজনীতিতেও। সেখানে সেমি তালেবানিরা ক্ষমতায়। বাংলাদেশের রাজনীতিতেও ধর্মীয় প্রভাব ও আধিপত্য ঠেকিয়ে রাখা যাচ্ছে না।
৫৪২টি আসনের মধ্যে এখনও পর্যন্ত বিজেপি ও জোট (এনডিএ) পেয়েছে ৩৪৮টি, কংগ্রেস ও জোট (ইউপিএ) পেয়েছে ৯০টি এবং জোটবিহীন দলগুলো পেয়েছে ১০৪টি আসন। নির্বাচনে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়ে ভারতের সরকার গঠন করতে হলে কোনো রাজনৈতিক দল বা জোটকে সংসদের নিম্নকক্ষ বা লোকসভায় কমপক্ষে ২৭২টি আসন পেতে হয়।
২০১৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি ২৮২টি আসন পেয়ে জিতেছিল, যা ছিল এর আগ পর্যন্ত ৩০ বছরের ইতিহাসে কোনো দলের সবচেয়ে বেশি আসন লাভ। জোটসহ মোট ৩৩৬টি আসন নিয়ে সেবার সরকার গঠন করেছিল দলটি। এবার হলো আরেক রেকর্ড। একক সংখ্যাগরিষ্ঠতার দিক দিয়ে ভারতের রাজনীতিতে বিজেপির বিপুল সংখ্যক আসন লাভ প্রথমবারের মত একটি বিস্ময়কর ঘটনা।
শান্তি প্রগতি কল্যাণের রাজনীতিতে পৃথিবী যখন এগিয়ে যাচ্ছে তখন আমরা উপমহাদেশের মানুষ মধ্যযুগীয় ধর্মীয়বোধের দিকে ঝুঁকে পড়ছি। এটি উপমহাদেশের শান্তিকামী মানুষের জন্য অশনী সংকেত। তবে ধর্মীয় উন্মাদনা যেন মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে না পারে সেদিকে লক্ষ্য রেখে ভারতের নতুন সরকারকে সৌহার্দ্য সম্প্রীতির নতুন অধ্যায় শুরু করতে হবে। তবেই এই উপমহাদেশের সবচেয়ে শক্তিশালী রাষ্ট্রের অগ্রযাত্রার সঙ্গে প্রতিবেশী দেশগুলোতেও শান্তি বজায় থাকবে। ভারতের নতুন সরকারকে আমরা অভিনন্দন জানাচ্ছি।