ভারতের নিজস্ব সংস্থা কর্তৃক তৈরি করোনার টিকা ‘কোভ্যাক্সিন’ এর জরুরি ব্যবহার বিষয়ে আগামী ৪ থেকে সপ্তাহের মধ্যে সিদ্ধান্ত জানাবে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। বর্তমানে এই টিকার তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণ করছে সংস্থাটি।
শুক্রবার সেন্টার ফর সায়েন্স অ্যান্ড এনভায়রমেন্ট (সিএসআই) আয়োজিত এক ওয়েবিনারে বক্তব্যে এমনটা জানিয়েছেন ভারতীয় শিশু বিশেষজ্ঞ ও ক্লিনিক্যাল সায়েন্টিফিক ডা. সৌম্য স্বামীনাথন।
তিনি বলেছেন, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা চার থেকে ছয় সপ্তাহের মধ্যে ভারতের বায়োটেক এর তৈরি টিকা ‘কোভ্যাক্সিন’ এর জরুরি ব্যবহার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করার বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবে। এই মুহুর্তে এই ভ্যাকসিনের তথ্যগুলো পর্যালোচনা করছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।
জরুরি ব্যবহারের অনুমতির বিষয়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার একটি সুনির্দিষ্ট প্রক্রিয়া রয়েছে।
ডা. সৌম্য স্বামীনাথন বলেন, জরুরি ব্যবহারের অনুমতি দেওয়ার নিয়ম হলো যে, কোনো সংস্থা তাদের তৈরিকৃত ভ্যাকসিনের তৃতীয় ধাপের ট্রায়াল শেষ করে তার সমস্ত তথ্য-উপাত্ত বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নিয়ন্ত্রক বিভাগে জমা দিতে হয়, যেটি বিশেষজ্ঞ প্যানেল দ্বারা যাচাই-বাছাই করা হয়ে থাকে’।
তিনি আরও বলেন, সকল তথ্য যাচাইয়ের পর ভ্যাকসিনের সুরক্ষা, কার্যকারিতা এবং উত্পাদন মান ও তার যাবতীয় দিক নিশ্চিত করার পর অনুমোদন পেয়ে থাকে। অতএব, আমি প্রত্যাশা করি যে, ভারত বায়োটেক ইতোমধ্যে তাদের সকল তথ্য-উপাত্ত জমা দিয়েছে এবং এই বিষয়ে চার থেকে ছয় সপ্তাহের মধ্যে অন্তর্ভুক্তির বিষয়ে সিদ্ধান্ত আসবে।
ইতোমধ্যে জরুরি ব্যবহারের জন্য ফাইজার-বায়োএনটেক, অ্যাস্টাজেনেকা-অক্সফোর্ড, মদার্না, জনসন, সিনোফর্ম প্রভৃতি টিকার অনুমোদন দিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।