১৯৪৭ সালে দেশভাগের সময়কার কথা! ব্রিটিশ সাম্রাজ্য ভেঙে ভারত-পাকিস্তান নামক দু’টি দেশ তৈরি হচ্ছে। এমন সময় হায়দ্রাবাদী নিজাম দ্বন্দ্বে পড়ে যান। হায়দ্রাবাদের সপ্তম নিজাম মির ওসমান আলি খান তখন ভারত বা পাকিস্তান কারো সঙ্গেই যোগ দিতে চাননি।
তবে আক্রমণের হাত থেকে বাঁচতে তিনি পাকিস্তানের হাইকমিশনার হাবিব ইব্রাহিম রহিমতুল্লার লন্ডন অ্যাকাউন্টে ১০ লাখ পাউন্ড অর্থ নিরাপদে রাখার জন্য রেখে দেন। সেই থেকে ন্যাশনাল ওয়েস্টমিনস্টার ব্যাংকে জমা আছে ওই অর্থ।
বিবিসি বলছে, অর্থের দাবিদার ছিল ভারত ও পাকিস্তান উভয় দেশই। তবে ব্রিটেনের হাইকোর্টে শেষ পর্যন্ত টিকেনি পাকিস্তানের দাবি। ব্রিটিশ আদালত ভারতের পক্ষেই রায় দিয়েছেন। তখনকার ১০ লাখ পাউন্ড বেড়ে এখন দাঁড়িয়েছে সাড়ে ৩ কোটি পাউন্ড।
মামলায় ভারত সরকারের পক্ষে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে লড়ছিলেন নিজাম মির ওসমান আলি খানের উত্তরপুরুষ মুকাররাম জাহ, যিনি হায়দ্রাবাদের অষ্টম নিজাম এবং তার ছোট ভাই মুফাখখাম জাহ।
বুধবার মামলার রায় ঘোষণার পর নিজামের পক্ষের আইনজীবী বলেন, ১৯৪৭ সাল থেকে চলা একটি বিতর্কের অবসান হলো আজ। অষ্টম নিজাম তার সম্পদ ফিরে পাচ্ছেন।
২০১৩ সালে পাকিস্তান দাবি করেছিল ওই অর্থ তাদের সরকারের প্রাপ্য। কেননা, ওই অর্থ নিজাম দিয়েছিলেন তাকে সরবরাহ করা অর্থের ক্ষতিপূরণ হিসেবে। তারা এমন দাবিও করে, ওই টাকা তাদের দেওয়া হয়েছিল ভারতের থেকে দূরে রাখার জন্যও।
লন্ডনের রয়্যাল কোর্টস অব জাস্টিসে বিচারক মার্কাস স্মিথ বলেছেন, পাকিস্তানের দাবির সপক্ষে কোনো প্রমাণ মেলেনি।
এই রায়ের জবাবে পাকিস্তানের পররাষ্ট্র দফতর জানিয়েছে, বিস্তারিত রায় হাতে পেলে তা পরীক্ষা করে পরবর্তী পদক্ষেপ নেয়া হবে।
বিবিসি বলছে, পাকিস্তান এই রায়ের বিরুদ্ধে আপীল করতে পারে।