বন্যার কারণে উৎপাদন ব্যাহত হওয়ায় অভ্যন্তরীণ চাহিদা মেটাতে ভারত থেকে কাঁচা মরিচ আমদানী করা হচ্ছে। ব্যবসায়ীরা বলছেন, সারাদেশের ৯০ শতাংশ চাহিদাই মেটাচ্ছে ভারতীয় কাঁচা মরিচ।
বিভিন্ন স্থল বন্দর দিয়ে প্রতিদিন আসছে ১শ’ থেকে ১শ’২০ ট্রাক মরিচ। এগুলো রাজধানী হয়ে চলে যাচ্ছে দেশের বিভিন্ন এলাকায়।
চলতি মৌসুমে অতিবৃষ্টি এবং বন্যায় কাঁচা মরিচ আর শাক-সবজির উৎপাদন ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হওয়ায় এই ঘাটতির নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে বাজারে।
এক লাফে কাঁচা মরিচের দাম উঠে গিয়েছিলো ১শ’ থেকে ৩শ’ টাকা পর্যন্ত। কাঁচা মরিচের দামের পাগলা ঘোড়া থামাতে প্রতিবেশী দেশ থেকে আমদানির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। ভারতের উত্তর প্রদেশ, ব্যাঙ্গালোর, বিহার, কানপুর থেকে আসা মরিচ ভর্তি ট্রাক বাংলাদেশে ঢুকছে হিলি, সোনা মসজিদ, ভোমড়া স্থল বন্দর দিয়ে। এসেই সরাসরি চলে যাচ্ছে পাইকরি বাজারে।
ট্রাক ড্রাইভাররা জানান, এই কাঁচা মরিচগুলো আসে ইমপোর্ট পোর্ট থেকে পানামা পোর্টে। তারপর সরাসরি চলে যায় বাজারে।
গভীর রাতে কারওয়ান বাজারে ট্রাক থেকে আনলোড করা মরিচ যায় আড়তে।
আরতদাররা জানান, বাংলাদেশের কাঁচা মরিচের সব আবাদই নষ্ট হয়ে গেছে। তাই ভারত থেকে বাংলাদেশের ৯০ শতাংশ মরিচ আমদানি করতে হচ্ছে। সেখান থেকে মরিচ না আসলে সোনার দরে মরিচ বিক্রি হতো।
কাঁচা মরিচ কিনতে সারা দেশ থেকে পাইকাররা আসছেন কারওরান বাজারে। কিশোরগঞ্জের পাইকারি ক্রেতারা বলেন, আমদানি বাড়ায় কাঁচা মরিচের দাম একটু কমেছে।
তবে ভারত থেকে রাজধানী পর্যন্ত আসতে লেগে যায় ৪ থেকে ৫ দিন। দীর্ঘ এই সময়ে কিছু মরিচ পঁচে নষ্ট হওয়ায় ব্যবসার ক্ষতি হচ্ছে বলে জানালেন ব্যবসায়ীরা।
আমদানিকারকরা বলেন, গতকাল ভারত থেকে ভারতীয় ৮০ টাকা দরে কাঁচা মরিচ কিনেছি। বাংলাদেশে আনতে আনতে খরচ পড়ে যায় ১শ টাকার ওপর।
তারা আরো বলেন, ভারতীয় বর্ডারে যে বিলম্ব হয় তা না হলে এদেশের সব অঞ্চলে আমদানি করা মরিচ পৌঁছে দেওয়া যেতো।
প্রতি কেজি মরিচে ২১ টাকা হারে শুল্ক পরিশোধ, পরিবহন ব্যয় বৃদ্ধি আর পথে পথে উৎকোচের কারণে কাঁচা মরিচের দাম এখনও ততোটা কমছে না বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।