চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ
Channelionline.nagad-15.03.24

ভারতের আট নাকি মালদ্বীপের দ্বিতীয়?

পাকিস্তানের বিপক্ষে সেমিফাইনাল জিতে উল্লাস যা হওয়ার তা বুধবার রাতেই শেষ। পরেরদিন থেকেই ঘাম ঝরাতে অনুশীলনে নেমে পড়েছে ভারত। মিশনটা সাফের সপ্তম শিরোপাকে অষ্টমে রূপান্তর করা। প্রতিপক্ষ মালদ্বীপ, ২০০৮ সালে যাদের হাতেও উঠেছিল সাউথ এশিয়ার শ্রেষ্ঠত্বের শিরোপা।

সাফ সুজুকি কাপের ফাইনালে শনিবার বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে মালদ্বীপের মুখোমুখি হবে ভারত। ম্যাচটি শুরু হবে বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা ৭টায়।

ফিট থাকতে সবার আগে চিনি বাদ দিন, প্রাকৃতিক ও নিরাপদ জিরোক্যাল-এর মিষ্টি স্বাদ নিন।

সাফের ইতিহাস ও শক্তি বিবেচনা করলে ভারতের সামনে মালদ্বীপ মোটেও কঠিন প্রতিপক্ষ হওয়ার কথা নয়। বরং এই দলকেই গ্রুপপর্বে হেসেখেলে ২-০ গোলে হারিয়ে সেমিফাইনাল নিশ্চিত করেছিল সাতবারের সাউথ এশিয়ান চ্যাম্পিয়নরা। এরপর চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী পাকিস্তানের বিপক্ষে ৩-১ গোলের জয়টা ছিল প্রত্যাশিতই।

কিন্তু মালদ্বীপ যদি ভারতের জন্য স্বস্তির জায়গা হয় তাহলে অস্বস্তির জায়গাও এই মালদ্বীপই। গ্রুপপর্বে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে গোলশূন্য ড্র আর ভারতের কাছে হারের পর কোনো গোল না করেই মাত্র ১ পয়েন্ট নিয়ে সাফের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো টস জিতে সেমিফাইনাল নিশ্চিত করে মালদ্বীপ।

কিন্তু সেমিফাইনালেই দেখা মিলেছে আসল মালদ্বীপের। টুর্নামেন্টের অন্যতম ফেভারিট নেপালের বিপক্ষে বলের দখলে এগিয়ে থাকলেও ৩-০ গোলের বড় জয়ে পঞ্চমবারের মতো সাফের ফাইনালে দ্বীপরাষ্ট্রটি। ২০০৮ সালে দেশটির একমাত্র সাফ শিরোপা উঠেছিল এই ভারতকে হারিয়েই।

সাফের ফাইনালে মোট তিনবার মুখোমুখি হয়েছে ভারত-মালদ্বীপ। ২০০৮ সাল ছাড়া বাকি দুবারই শিরোপা গেছে ভারতের কাছে। ২০০৯ সালের পর আবারও সাউথ এশিয়ার ফাইনালে উঠে এবার হাতে খালি হাতে ফিরতে চান না মালদ্বীপ অধিনায়ক আকরাম আব্দুল ঘানি।

‘গ্রুপপর্বে আমরা ঠিকমত খেলতে পারিনি এটা ঠিক। কিন্তু দেখুন আমরা এখন ফাইনালে। এটা আমাদের জন্য বড় সুযোগ। আমরা ৯ বছর ফাইনাল খেলতে পারিনি। এবার আমরা প্রস্তুত। আর চাই শিরোপা আমাদের ঘরে নিয়ে যেতে।’

প্রতিপক্ষ নিয়ে শ্রদ্ধা থাকলেও কাউকে ভয় করেন না বলে জানাচ্ছেন ভারত কোচ স্টিফেন কনস্টান্টিন, ‘আমি আমার ছেলেদের নিয়ে গর্বিত। ফাইনালটা আমাদের জন্য প্রাপ্যই ছিল। মালদ্বীপ নেপালের বিপক্ষে ভালো খেলেছে। তাদের দারুণকিছু খেলোয়াড় আছে। তারা আমার পূর্ণ শ্রদ্ধাই পাবে। কিন্তু আমরা কাউকেই ভয় পাই না।’