চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ

ভারতের অঘোষিত অবরোধে নেপালে জ্বালানি সংকট আরও তীব্রতর

ভারতের অঘোষিত অর্থনৈতিক অবরোধ অব্যাহত থাকায় নেপালে জ্বালানি সংকট আরও তীব্রতর হয়েছে। জ্বালানীর অভাবে রান্নার কাজে কাঠের ব্যবহার বেড়ে গেছে। কাঠমণ্ডুর অনেক হোটেল ও রেস্তোরাও চলছে কাঠের জ্বালানী দিয়ে। যানবাহন চলাচল অস্বাভাবিক হারে কমে গেছে। জ্বালানি ছাড়াও সংকট দেখা দিয়েছে চাল, চিনি, লবণ, সবজির মতো নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের।

নেপালের সিপিএন-ইউএমএল নেতা এবং সাবেক প্রধানমন্ত্রী মাধব কুমার নেপাল বলেছেন, নেপালের ওপর আরোপিত ভারতের অঘোষিত অবরোধ আন্তর্জাতিক আইনের পরিপন্থী। আর তা-ই অবিলম্বে এই অবরোধ প্রত্যাহার করা উচিত।

অব্যাহত জ্বালানী সংকটের কারণে বাসা-বাড়ির মতো ব্যাপক সমস্যায় পড়েছেন নেপালের হোটেল ও রেস্তোরা ব্যবসায়ীরা। গৃহস্থলি রান্না-বান্নার মতো হোটেলগুলোতে জ্বালানী হিসেবে কাঠ ব্যবহার হচ্ছে। জ্বালানীর অভাবে বেশিরভাগ যানবাহন চলাচল বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। এতে সমস্যায় পড়েছেন যাত্রীরা। যানবাহন স্বল্পতার কারণে ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করতে হচ্ছে তাদের। অনেক প্রাইভেটকার ও মাইক্সোবাসের ছাদে চড়ে গন্তব্যে যেতে হচ্ছে।

এদিকে, রোববার দুটি সীমান্ত দিয়ে ৫২টি ট্রাঙ্কার নেপালে ঢুকেছে। এর মধ্যে ডিজেল ও রান্নার গ্যাস রয়েছে। তবে এটা মোট প্রয়োজনের মাত্র ১০ শতাংশ বলে জানিয়েছে নেপালের জ্বালানী করপোরেশন।

ভারত থেকে নেপালে পণ্য সরবরাহ প্রায় দু’সপ্তাহের বেশি সময় ধরে বন্ধ রয়েছে। নেপালের দাবি, ভারতের কর্তৃপক্ষ ট্রাকগুলোকে নেপালে প্রবেশে বাধা দিচ্ছে। ভারত এই অভিযোগ অস্বীকার করে বলেছে, নেপাল সীমান্ত পর্যন্ত ট্রাকগুলোর নিরাপত্তার দায়িত্ব ভারতের উপর থাকলেও সীমান্তের ওপাড়ে নেপাল সরকারকেই ট্রাকগুলোর নিরাপত্তা দিতে হবে, আর তা দিতে ব্যর্থ হওয়ায় ট্রাকগুলো সীমান্তে আটকে রয়েছে।

নেপালের দক্ষিণের তেরাই অঞ্চলে রাজনৈতিক অস্থিরতা চলমান থাকায় সেদিক দিয়ে পণ্য বোঝাই যানগুলো নেপালে প্রবেশ করতে পারছে না। আমদানি নির্ভর জ্বালানি ব্যবস্থার নেপালে সাধারণত সড়ক পথে ভারত সীমান্ত দিয়ে জ্বালানি প্রবেশ করে। আর তা বন্ধ থাকায় দেশটিতে জ্বালানি ছাড়াও সংকট দেখা দিয়েছে চাল, চিনি, লবণ, সবজির মতো নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের। এ সংকট ক্রমেই তীব্র থেকে তীব্রতর হচ্ছে।