চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ
Channelionline.nagad-15.03.24

ভারতীয় ভ্যারিয়েন্টের সংক্রমণ ক্ষমতা অত্যধিক: বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা

ভারতে পাওয়া করোনাভাইরাসের একটি ভ্যারিয়েন্ট নিয়ে উদ্বেগ জানিয়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে: প্রাণঘাতী এই ভ্যারিয়েন্টের সংক্রমণ ক্ষমতা অত্যধিক। এমনকি এটি টিকার অ্যান্টিবডি ভাঙারও ক্ষমতা রাখে।

করোনার এই ভ্যারিয়েন্টের নাম বি.১.৬১৭.২। ভারতে করোনাভাইরাসের তিন বার রূপ পরিবর্তনকারী স্ট্রেইন অর্থাৎ বি.১.৬১৭ পাওয়া গিয়েছে। তারই একটি রূপ এটি। ২০২১ সালের মে মাসে এই ভ্যারিয়েন্টের তিনটি প্রকারভেদকেই উদ্বেগজনক ভাইরাস হিসেবে চিহ্নিত করে ডব্লিউএইচও।

মঙ্গলবার বিবৃতি দিয়ে সংস্থাটির বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, এই ভাইরাসের তিনটি প্রকারভেদের বাকি দুইটি ততটা বিপজ্জনক নয়। তবে বি.১.৬১৭.২ নিয়ে উদ্বেগ রয়েছে।

করোনা মহামারির আপডেট নিয়ে প্রতি সপ্তাহেই বিবৃতি দেয় ডব্লিউএইচও। সংস্থাটি বলছে, এটা নিশ্চিত যে, এই প্রকারভেদটির সংক্রমণ ক্ষমতা অনেক বেশি। এটি জনস্বাস্থ্যকে বড় রকমের ঝুঁকির মুখে ফেলতে পারে।

ভারতে করোনা সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউয়ের জন্য করোনার এই ট্রিপল মিউট্যান্ট স্ট্রেইন বি.১.৬১৭-কেই দায়ী করা হয়েছিল। ভাইরাসের এই বিশেষ স্ট্রেইনের নামকরণ নিয়ে কিছু দিন আগেই আপত্তি তুলেছিল দিল্লি। ‘করোনার ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট’ হিসেবে উল্লেখ করাই ছিল অসন্তোষের কারণ। পরে বি.১.৬১৭ ভ্যারিয়েন্টকে কোভিড-১৯ এর ডেল্টা স্ট্রেইন হিসেবে নামকরণ করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।

এদিকে ভারতে যে শিশুরা করোনায় সংক্রমিত হচ্ছে, তাদের বেশিরভাগেরই কোনও উপসর্গ নেই বলে জানিয়েছেন দেশটিতে করোনা টিকা সংক্রান্ত বিশেষজ্ঞ কমিটির চেয়ারম্যান ভিকে পল।

সাধারণত দুইভাবে শিশুদের শরীরে সংক্রমণের বিষয়টি স্পষ্ট হচ্ছে। একটিতে তাদের শরীরে নিউমোনিয়ার উপসর্গ দেখা দিচ্ছে। দ্বিতীয়টিতে একাধিক অঙ্গে প্রদাহের উপসর্গের দেখা মিলছে। দ্বিতীয় ক্ষেত্রে, করোনা মুক্ত হওয়ার ছয় সপ্তাহ পরও আবার জ্বর আসছে শিশুটির। সঙ্গে বমি। গায়ে র‍্যাশ বেরোচ্ছে।

ভিকে জানিয়েছেন, এই ধরনের উপসর্গ যাদের হচ্ছে, তাদের ওপর কড়া নজর রাখছে কেন্দ্রীয় সরকার। তার আশা, শিশুরোগ বিশেষজ্ঞরা দ্রুত এই ধরনের সমস্যার সমাধান খুঁজে বের করতে সমর্থ হবেন।

পাশাপাশি তিনি স্বীকার করে নিয়েছেন, হতে পারে করোনার তৃতীয় ঢেউ শিশুদের শরীরে বেশি প্রভাব ফেলবে। ভিকে-র মতে, করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের দিকে নজর রেখে বলা যায়, দ্রুত চরিত্র পাল্টাচ্ছে ভাইরাস। তাই করোনা পরবর্তী উপসর্গের দিকে নজর রাখাও গুরুত্বপূর্ণ হয়ে পড়েছে। তবে বেশিরভাগ করোনা সংক্রমিত শিশুর শরীরে তেমন কোনও উপসর্গ নজরে পড়ছে না। এর ফলে শারীরিক অবস্থার বেশি অবনতি হচ্ছে না। তবে অনেককেই হাসপাতালে ভর্তি করাতে হচ্ছে।