দুদিন আগেই সিডনিতে রুদ্রমূর্তি দেখিয়েছিলেন স্টিভেন স্মিথ ও গ্লেন ম্যাক্সওয়েল। একই মাঠে ফের দুজনে তাণ্ডবে নাকাল ভারতীয় বোলাররা। সঙ্গে ডেভিড ওয়ার্নার-অ্যারন ফিঞ্চরা ছিলেনই। সবাই মনপ্রাণ উজাড় করে ভারতীয় বোলারদের পিটিয়েছেন! তাতে অস্ট্রেলিয়া প্রতিপক্ষের ঘাড়ে চাপিয়েছে ৩৯০ রানের লক্ষ্যের বোঝা।
আগের ম্যাচে সেঞ্চুরি তুলেছিলেন স্মিথ, ৬২ বলে। দুদিন পর ঠিক ৬২ বলেই নিজের একাদশতম ওডিআই সেঞ্চুরি পেয়েছেন অজিদের সাবেক অধিনায়ক।
রোববারের ম্যাচকে শুক্রবারের পুনরাবৃত্তি বললে খুব একটা অনুচিত হবে না। ওই ম্যাচে উদ্বোধনীতে ১৫৬ রান তুলেছিলেন ডেভিড ওয়ার্নার ও অ্যারন ফিঞ্চ। এদিন দুজনে গড়লেন ১৪২ রানের জুটি। পার্থক্য বলতে, আগের ম্যাচে সেঞ্চুরি পেয়েছিলেন অধিনায়ক ফিঞ্চ, এদিন আউট ৬৯ বলে ৬০ করে।
কপাল মন্দ ফিঞ্চের সঙ্গী ওয়ার্নারের, এগোচ্ছিলেন সেঞ্চুরির দিকেই। ৭৭ বলে ৮৩ করে রানআউটে কাটা পড়ছেন। পরে ফিল্ডিংয়ের সময় পড়েছেন চোটে। কাঁধে করে ওয়ার্নারের মাঠ ছাড়ার দৃশ্য বলে দিচ্ছিল, ভালো চোটই পেয়েছেন বাঁহাতি ওপেনার।
১৫৬ রানে দুই ওপেনার ফিরে গেলেও রানের গতি থামতে দেননি স্মিথ ও মার্নাস লাবুশেন। ১৩০ বলে তৃতীয় উইকেট জুটিতে দুজনে তুলেছেন ১৩৬ রান।
লাবুশেনের ভরসায় একটা প্রান্ত সঁপে দিয়ে নিশ্চিন্তে ভারতীয়দের পেটানোর কাজ করে গেছেন স্মিথ। ৩৮ বলে ফিফটির পর বলকে দেখেছেন ফুটবলের মতো, পরের ফিফটি মাত্র ২৪ বলে। ১৪ চার ও ২ ছক্কায় ৬৪ বলে ১০৪ রান করে ফেরার আগে অস্ট্রেলিয়াকে দিয়ে যান বড় রানের পুঁজি।
স্মিথ ফেরার পর বিধ্বংসী ইনিংস খেলেছেন গ্লেন ম্যাক্সওয়েল। আইপিএলজুড়ে একটিও ছক্কা মারতে না পারায় তাকে ‘দামি চিয়ারলিডার’ বলে খোঁচা দিয়েছিলেন ভারতীয়দের সাবেক ব্যাটসম্যান বীরেন্দ্রর শেবাগ, ভারতীয়দের বিপক্ষে ওডিআই সিরিজেই সেটা ফিরিয়ে দিচ্ছেন ম্যাক্সি। আগের ম্যাচে খেলেছিলেন ১৯ বলে ৪৫ রানের ইনিংস, এবার তুলেছেন ২৯ বলে ৬৩ রান। ৪ চারের সঙ্গে ৪টি ছক্কার মার নিশ্চয় জ্বালা বাড়াবে শেবাগের মনের!
ভারতীয় বোলারদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি মার খেয়েছেন নবদ্বীপ সাইনি। ৭ ওভারে ৭০ রান দেয়ার পর তাকে আর বোলিংয়েই আনেননি অধিনায়ক বিরাট কোহলি। রান বিতরণে কম যাননি মোহাম্মদ শামি কিংবা জাসপ্রিত বুমরাহ। ৯ ওভারে ৭৩ রান দিয়েছেন শামি, ১০ ওভারে ৭৯ রান খরচ বুমরাহর। দুজনে একটি করে উইকেট পেয়েছেন। এরচেয়ে ৪ ওভারে ২৪ রান দিয়ে খানিকটা কৃপণ ছিলেন হার্দিক পান্ডিয়া!