দেশে করোনাভাইরাসের ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট (ধরন) শনাক্ত হওয়া নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা বলেন: ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট নিয়ে আমরা উদ্বিগ্ন। সবাইকে এটি নিয়ে উদ্বিগ্ন হওয়া উচিত।
শনিবার বিকেলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট নিয়ে এক জরুরি ব্রিফিংয় তিনি এসব কথা বলেন।
নাসিমা সুলতানা বলেন: যশোরে আট ব্যক্তির কাছ থেকে নেওয়া নমুনা যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (যবিপ্রবি) এবং আইইডিসিআর আলাদাভাবে পরীক্ষা করেছে। দুই প্রতিষ্ঠানের পরীক্ষাতেই ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট ধরা পড়েছে।
তিনি আরও বলেন: যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ল্যাবে আটজনের নমুনা পরীক্ষা করে দু’জনের শরীরে ভারতীয় করোনার ধরন শনাক্ত হয়েছে। এছাড়া চারজনের শরীরে ভারতীয় ধরনের খুব কাছাকাছি ধরন শনাক্ত হয়েছে।
ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট ‘ডাবল মিউট্যান্ট’ কিনা, জানতে চাইলে নাসিমা সুলতানা বলেন: আমাদের সিকোয়েন্স এখনও শেষ হয়নি। যতক্ষণ পর্যন্ত সিকোয়েন্স শেষ না হবে, ততক্ষণে আসলে বলা যাচ্ছে না এটা ডাবল মিউট্যান্ট কিনা।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের এই অতিরিক্ত মহাপরিচালক জানান: যবিপ্রবি উপাচার্যের সঙ্গে কথা হয়েছে। তিনি জানিয়েছেন, তাদের ল্যাবে কিছু সিকোয়েন্স করে এটি নিশ্চিত হওয়া গেছে। এখন পূর্ণাঙ্গ জিনোম সিকোয়েন্স করার প্রক্রিয়া চলছে।
নাসিমা সুলতানা বলেন: একটা মানুষ যখন বাড়ি যাচ্ছে তখন ভাবতে হবে সে ঝুঁকি নিয়ে বাড়ি যাচ্ছে। সে শুধু আনন্দ করার জন্যই বাড়ি যাচ্ছে না, সে যাচ্ছে বাবা মাসহ আত্মীয়-স্বজনদের আক্রান্ত করতে। কারণ, যাত্রা পথে তাকে অনেকের সংস্পর্শে আসতে হচ্ছে। ওই ব্যক্তি নিজেও জানে না সে কার কাছ থেকে সংক্রমণ নিয়ে বাড়ি যাচ্ছে।