করোনার ভারতীয় ধরণের করোনার সংক্রমণের কারণে সীমান্তবর্তী জেলাগুলোতে সরকার বিশেষ নজর রাখছে বলে জানিয়েছেন জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হেসেন।
আজ রোববার চলমান লকডাউন বা বিধিনিষেধ আগামী ৬ জুন পর্যন্ত বাড়ানোর পর প্রতিমন্ত্রী সচিবালয়ে সাংবাদিকদের একথা বলেন ।
সীমান্তবর্তী জেলাগুলোর বিষয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, সাতক্ষীরার বিষয়টি আমরা একটু বেশি দেখছি। হয়তো সিদ্ধান্ত আসবে কীভাবে এটা করা যায়। তবে আমরা চাইবো যে জায়গাটিতে স্পেসিক্যালি আক্রান্ত সেই জায়গাটিতে শনাক্ত করার চেষ্টা করবো। এমনও হতে পারে পুরো সাতক্ষীরা নয়, যে স্থানটিতে বেশি সংক্রমণ সেই জায়গাগুলোতে করার চেষ্টা করবো। যাতে মানুষের জীবন-জীবিকা ক্ষতিগ্রস্ত না হয়। সরকার সে বিষয়টি খেয়াল রাখছে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ইতোমধ্যে চাঁপাইনবাবগঞ্জে স্থানীয়ভাবে লকডাউন দিয়েছি। ভারতের বিষয়টির আশঙ্কা থেকেই জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের পরামর্শে সেটা আমরা করছি। সীমান্তবর্তী পাঁচটি জেলার স্থানীয়ভাবে বিধিনিষেধ দেওয়ার বিষয়ে প্রস্তাব এসেছে, আমরা সেটি নিয়ে চিন্তা-ভাবনা করছি। সে বিষয়ে আমরা হয়তো জানাবো, কী করা যেতে পারে। সংক্রামক ব্যাধি নির্মূল আইনের আলোকে কোথাও সংক্রমণ বাড়লে স্বাস্থ্য অধিদফতরের কাছে সুপারিশ করতে পারে, তারা সেটি অনুমোদন দেবে পরিস্থিতি অনুযায়ী।
ফরহাদ হোসেন বলেন, সীমান্তবর্তী জেলাগুলোর উপর আমরা বিশেষ নজর রেখেছি, যদি সেখানে আমাদের নিয়ন্ত্রণ করতে হয়, ওই জায়গাগুলোতে চলাফেরার উপর নিয়ন্ত্রণ আরোপ করতে পারবো। বিষয়গুলো আমরা পর্যবেক্ষণ করছি। আপাতত স্পষ্ট করে কিছু বলা যাচ্ছে না। পরিস্থিতি বুঝে আমরা সিদ্ধান্ত নেবো।
তিনি বলেন, বিশেষজ্ঞ ও কোভিড সংক্রান্ত জাতীয় টেকনিক্যাল কমিটির সুপারিশ অনুযায়ী আমরা চাচ্ছি সংক্রমণটা ৫ শতাংশের কাছাকাছি নিয়ে আসার জন্য। ৫ শতাংশে নামলে বলা হয় স্বস্তিদায়ক পরিস্থিতিতে আছে, ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থা নয়। আমরা সেই রকম অবস্থায় দিকে নিতে চাই। মানুষ যথেষ্ট পরিমাণে সাড়া দিচ্ছে। প্রত্যেকের সচেতন হয়েছে, মানুষ অপ্রয়োজনে বাইরে আসছে না। এটা একটা ভালো লক্ষণ। এক্ষেত্রে আমরা অবস্থা পর্যবেক্ষণ করছি।
তিনি বলেন, ভারতের সঙ্গে সীমান্ত বন্ধ রাখার নিষেধাজ্ঞা আরও দুই সপ্তাহ বহাল থাকবে। ভারতের সঙ্গে চলাচলের ৩৬টি সীমান্ত পয়েন্ট রয়েছে।