ভারতের পশ্চিমবঙ্গের হাওড়ার ডুমুরজলায় বিজেপি আয়োজিত এক সভার মঞ্চে বিজেপির নেতানেত্রীরা ভারতীয় জাতীয় সংগীত ‘ভুল’ গেয়েছেন বলে অভিযোগ তুলেছে তৃণমূল কংগ্রেস। সেসময় মঞ্চে ছিলেন কমপক্ষে দু’জন ভারতীয় কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। ছিলেন শুভেন্দু অধিকারী, কৈলাস বিজয়বর্গীয়রাও।
ঘটনার নিন্দা জানিয়েছেন ডায়মন্ড হারবারের সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। খবর হিন্দুস্থান টাইমস বাংলার।
টুইটারে সেই জাতীয় সঙ্গীতের পোস্ট করে অভিষেক লিখেছেন, ‘যাঁরা দেশভক্তি এবং জাতীয়তাবাদের জ্ঞান দেন, তাঁরা ঠিকভাবে আমার জাতীয় সংগীত গাইতেও পারেন না। এটা সেই দল, যারা ভারতের সম্মান এবং গর্ব বজায় রাখার দাবি করে। লজ্জাজনক। এই দেশবিরোধী কাজের জন্য কি নরেন্দ্র মোদী, অমিত শাহ এবং বিজেপি ক্ষমা চাইবেন?’ সঙ্গে ‘জাতীয় সংগীতের অবমাননা করেছে বিজেপি’ (#BJPInsultsNationalAnthem) ট্যাগও যোগ করেন অভিষেক।
Those preaching about Patriotism & Nationalism can’t even sing our National Anthem correctly.
This is the party which claims to uphold India’s honour and pride! SHAMEFUL!
Will @narendramodi @AmitShah @BJP4India apologise for this “Anti-National” Act?#BJPInsultsNationalAnthem pic.twitter.com/fgdCEMPisk
— Abhishek Banerjee (@abhishekaitc) January 31, 2021
রবিবার হাওড়ার ডুমুরজলায় বিজেপির সভা ছিল। সেখানে ভার্চুয়ালি ভাষণ দেন অমিত শাহ। এসেছিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী স্মৃতি ইরানি, দেবশ্রী চৌধুরী, রাজ্যে বিজেপির কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক কৈলাস বিজয়বর্গীয়, বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষরা। গেরুয়া শিবিরে যোগদানের পর প্রথম জনসভায় ছিলেন রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়, বৈশালী ডালমিয়ারাও। সেই সভা থেকে বিজেপি নেতাদের ভারতীয় জাতীয় সংগীত গাওয়ার ভিডিও টুইট করেন অভিষেক। সেই ভিডিওয় জাতীয় সংগীতের প্রথমের দিকের কিছুটা অংশ শোনা যায়নি। ভিডিওতে জাতীয় সংগীতের শেষ স্তোত্রের শুরুতে ‘জনগণ মঙ্গলদায়ক’-এর পরিবর্তে ‘জন গণ মন অধিনায়ক’ গাইতে শোনা যায়। আর তা নিয়েই সরব হয়েছে তৃণমূল।
অভিষেকের পাশাপাশি টুইটে বিজেপিকে ‘টুরিস্ট গ্যাং’ হিসেবে কটাক্ষ করেছেন তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ ডেরেক ও’ব্রায়েন। টুইটারে তৃণমূলের অফিসিয়াল অ্যাকাউন্টে লেখা হয়েছে, ‘আজ বাংলার দেশভক্ত মাটিতে দাঁড়িয়ে বিজেপির নেতৃত্ব রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের লেখা জাতীয় সংগীত ভুলভাবে গেয়ে দেশকে অপমান করেছেন। এই ভাবেই বিজেপির নেতাদের লোক দেখানো জাতীয়তাবাদ প্রকাশ্যে আসছে! এই অপমান দেশ মেনে নেবে না! তাঁদের অবিলম্বে ক্ষমা চাইতে হবে!’
যদিও তৃণমূলের অভিযোগে আমল দিতে রাজি নয় গেরুয়া শিবির। বিজেপি নেতা শমীক ভট্টাচার্যের দাবি, হাস্যকর দাবি করছে তৃণমূল।