ব্রিটিশদের রানী এলিজাবেথের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে গিয়ে একজন বাদে নয় অধিনায়ক পরলেন কেতাদুরস্ত পোশাক। বাকি একজন হাঁটলেন ভিন্ন পথে। সেইজন সরফরাজ আহমেদ। রানীর অনুষ্ঠানে অধিনায়কের এমন পাঞ্জাবি-পায়জামা পরা দেখে খেপেছে খোদ পাকিস্তানিরাই। মেতেছে সমালোচনায়!
রানী দ্বিতীয় এলিজাবেথের সঙ্গে দেখা করতে গিয়ে বেশ ফিটফাট পোশাকই পরেছেন বিশ্বকাপে অংশগ্রহণকারী অধিনায়করা। সবাই পরেছেন স্যুট-ট্রাউজার, গলায় জাতীয় পতাকার রঙে রাঙানো টাই। আর সরফরাজের গায়ে ছিল ঐতিহ্যবাহী সাদা পাঞ্জাবি আর পায়জামা। তার উপর চাপিয়েছেন সবুজ রঙের টিম ব্লেজার।
ঐতিহ্যবাহী পোশাক পরেছেন ভালো কথা, তবে রানীর অনুষ্ঠানেই কেন? তা নিয়েই চটেছেন অনেক পাকিস্তানি। সেই দলে আছেন পাকিস্তানি বংশোদ্ভূত কানাডিয়ান লেখক তারেক ফাতাহ। টুইটারে সমালোচনায় বিদ্ধ করেছেন সরফরাজকে।
‘সব দলের অধিনায়কেরা রানীর সঙ্গে ছবি তুলেছেন। দেখুন কে পায়জামা পরে এসেছে। আর কেউ না পাকিস্তানের অধিনায়ক। তাকে একবার দেখুন। এমন লোককে কীভাবে একটা দেশ জন্ম দেয়?’
‘আফগানিস্তান থেকে শুরু করে অস্ট্রেলিয়া, বাংলাদেশ, ইংল্যান্ড, সব দলের অধিনায়ক সুন্দর জ্যাকেট পরেছেন, টাই পরেছেন। কিন্তু পাকিস্তানি ভদ্রলোকটি পরেননি। আমি অবাক হতাম না যদি দেখতাম সে লুঙ্গি-বেনিয়ান (গাউনের মতো নারীদের একটি পোশাক) আর টুপি পরে চলে আসতো। এসব কীভাবে সম্ভব?’
সবাই অবশ্য সরফরাজের সমালোচনা করেছেন এমনটাও নয়। অধিকাংশ পাকিস্তানিই পক্ষ নিয়েছেন নিজেদের অধিনায়কের। অবাক করার মতো হচ্ছে, প্রতিবেশী দেশ ভারতের অনেকেই সমর্থন করছেন সরফরাজকেই।
তারেক ফাতাহর লেখার জবাবে এক ভারতীয় যেমন লিখেছেন, ‘আমি তো এখানে ভুল কিছু দেখছি না। তিনি ভালো পোশাক পরেছেন, দেখতে ভালো লাগছে, নিজের ঐতিহ্যকে তুলে ধরেছেন। যে পোশাক পরেছেন তাতে তাকে বেশ আত্মবিশ্বাসীও লাগছে। এমনকিছু করেননি যাতে রানীর অস্বস্তি হয়।’
আরেক ভারতীয় লিখেছেন, ‘তারেক ফাতাহর কাছ থেকে আমি এমন কিছু আশা করিনি। মহাত্মা গান্ধী ধূতি পরে লন্ডনে রাজার সঙ্গে দেখা করেছিলেন। তাকে এটা না করতে পরামর্শ দেয়া হয়েছিল। গান্ধী বলেছিলেন, আমি রাজাকে দেখাতে চাই যে তিনি আমাদের ডাকাতি করেছেন। আমার বিলাসিতা করার মতো কিছু নেই!’