চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ
Channelionline.nagad-15.03.24

ভারতজুড়ে বিক্ষোভে ক্ষতির মুখে পর্যটন শিল্প

নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন (সিএএ) নিয়ে ভারতজুড়ে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ায় ক্ষতির মুখে পড়েছে দেশটির পর্যটন শিল্প।

ভারতের পর্যটন খাতসংশ্লিষ্টরা বলছেন, অবকাশ মৌসুমে বিদেশী পর্যটকের আগমন কমে গেছে এবং দেশীয় পর্যটকরা অবকাশ কাটাতে বিদেশে চলে যাচ্ছেন।

তবে ভারত জুড়ে এই সহিংসতায় এখন পর্যন্ত ২৫  মারা গেছে।  আর এই কারণে দেশের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতিতে পর্যটন খাতে বেশ ধাক্কা লেগেছে।

গত কয়েক দিনে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, কানাডা, সংযুক্ত আরব আমিরাত (ইউএই), অস্ট্রেলিয়াসহ বিভিন্ন দেশ তাদের নাগরিকদের ভারত, বিশেষ করে উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় প্রদেশগুলোয় সফরে সতর্ক করে দিচ্ছেন। প্রয়োজনে সফর পরিকল্পনা পুনর্বিবেচনার পরামর্শ দিচ্ছে।

চলতি বছরের শুরুতে ভারতে পর্যটক আগমনে লক্ষণীয় প্রবৃদ্ধি হয়নি এবং চলমান বিক্ষোভে তা আরো ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।

পর্যটন শিল্পের তথ্য মতে, গত দুই সপ্তাহে ভারতের অভ্যন্তরীন এবং বিদেশী প্রায় ২ লাখ ট্রিপ বাতিল করা হয়েছে। যার মধ্যে সবচেয়ে বেশি বাতিল করা হয়েছে তাজমহল দেখার প্যাকেজগুলো।

পুলিশ ডানিস কুমার বলেন, প্রায় ৬০ শতাংশ ভ্রমণের ট্রিপ আমরা বাতিল করে দিয়েছি। অনেক ভারতীয় এবং বিদেশি পর্যটক নিরাপত্তার কারণে ভারতের দর্শনীয় স্থানে আসছে না।

শীর্ষ পর্যটন কোম্পানি এসওটিসি বলছে, গ্রাহকরা এখন অন্য জায়গা বাছাই করছে। চলমান অস্থিরতায় উত্তর-পূর্ব ভারতে এ মৌসুমে পর্যটক আগমন বড় ধাক্কা খেয়েছে।

এসওটিসি ট্রাভেলের প্রেসিডেন্ট ড্যানিয়েল ডি’সুজা বলেন, উত্তর-পূর্বাঞ্চলে চলমান পরিস্থিতি বিবেচনায় আমরা প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিচ্ছি। গ্রাহকদের নিরাপত্তাকে আমরা সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিচ্ছি। অনেকেই বিকল্প গন্তব্য হিসেবে কেরালা ও আন্দামান বাছাই করছে। প্রতি বছর শীতের মৌসুমে পূর্ব ও উত্তর-পূর্ব ভারতে পর্যটক আগমন বাড়ে এবং আসাম, সিকিম ও নর্থ বেঙ্গলে দলে দলে বেড়াতে আসে।

চলতি বছরে সেসব অঞ্চলে পর্যটক আগমনে বড় পতন লক্ষ করা যাচ্ছে বলে জানান টমাস কুক (ভারত) প্রেসিডেন্ট ও কান্ট্রি হেড রাজীব ক্যালি।

তিনি বলেন, নাগরিকত্ব আইন নিয়ে পূর্ব ও উত্তর-পূর্ব ভারতে চলমান বিক্ষোভে ওই গন্তব্যগুলোমুখী পর্যটকের সংখ্যা বেশ হ্রাস দেখছে।

এদিকে বিদেশের গন্তব্যের ব্যাপারে ভারতীয় গ্রাহকদের প্রশ্ন/অনুসন্ধান কয়েক গুণ বেড়েছে বলে জানা গেছে। কিছু দেশীয় গ্রাহক যেমন রাজস্থান, গোয়া ও দক্ষিণ ভারতমুখী হচ্ছে, তবে দুবাই ও দক্ষিণ এশীয় দেশগুলোয় বুকিংয়ের সংখ্যাও বেড়েছে।