পাকিস্তানের কাছে হেরে যে ধাক্কাটা খেয়েছিল ভারত, সপ্তাহান্তেও সেটি কাটিয়ে উঠতে পারেনি তারা। লম্বা বিরতি দিয়ে দ্বিতীয় ম্যাচে নেমে নিউজিল্যান্ডের কাছে একদম বিধ্বস্ত হয়েছেন রোহিত-কোহলিরা। ৮ উইকেটের জয়ে তাদের কঠিন বাস্তবতায় ঠেলে দিয়েছেন উইলিয়ামসনরা।
দুবাইয়ে শুরুতে ব্যাট করে নির্ধারিত ওভারে ৭ উইকেটে কেবল ১১০ পর্যন্ত যেতে পারে ভারত। দুর্বার নিউজিল্যান্ড জয় তোলে ২ উইকেট হারিয়ে ৩৩ বল অক্ষত রেখে।
গ্রুপ-২তে ৩ ম্যাচ খেলে ৬ পয়েন্টে শীর্ষে পাকিস্তান। সমান ম্যাচ খেলা আফগানিস্তানের পয়েন্ট ৪, টেবিলের দুইয়ে তারা। ২ ম্যাচে ২ পয়েন্টে তিনে নিউজিল্যান্ড। এমনকি ২ ম্যাচে ২ পয়েন্ট জমাতে পেরেছে নামিবিয়াও। ২টি করে ম্যাচ খেলে স্কটল্যান্ডের মতো পয়েন্টশূন্য টুর্নামেন্টের অন্যতম হটফেভারিট ভারত।
রোববার ভারতের পাঁচ ব্যাটার ছুঁয়েছেন দুঅঙ্ক। তাদের মধ্যে সর্বোচ্চ রানের ইনিংসটি অপরাজিত ২৬ রানের, রবীন্দ্র জাদেজার, ২ চার ও এক ছয়ে ১৯ বলে সাজানো।
বাকিদের মধ্যে লোকেশ রাহুল ১৬ বলে ১৮, ঈশান কৃষাণ ৮ বলে ৪, রোহিত শর্মা ১৪ বলে ১৪, অধিনায়ক বিরাট কোহলি ১৭ বলে ৯, রিশভ পান্ট ১৯ বলে ১২, হার্দিক পান্ডিয়া ২৪ বলে ২৩, শার্দূল ঠাকুর শূন্য রানে ফিরেছেন।
একসময় টানা ৭১ বল বাউন্ডারি হাঁকাতে পারেনি মারকুটে সব ব্যাটারে ভরা ভারত লাইনআপ। পুরো ইনিংসে কেবল দুটি ছয়, পিঠে ৮টি চারের মার। এতেই পরিষ্কার হয়ে ওঠে কিউই বোলাররা কতটা চেপে ধরেছিলেন প্রতিপক্ষ ব্যাটারদের।
যাতে নেতৃত্ব দিয়েছেন ট্রেন্ট বোল্ট। অভিজ্ঞ পেসার ৪ ওভারে ২০ রানে ৩ উইকেট নিয়েছেন। ম্যাচসেরা ইশ সোধি সমান ওভারে মাত্র ১৭ রানে ২ উইকেট ঝুলিতে পুরেছেন। উইকেট না পেলেও ৪ ওভারে মাত্র ১৫ রান দিয়েছেন কিপ্টে মিচেল স্যান্টনার। টিম সাউদি ও অ্যাডাম মিলনে নিয়েছেন একটি করে উইকেট।
জবাব দিতে নেমে ১৭ বলে ২০ রানে শুরুটা করে যান মার্টিন গাপটিল। তার ওপেনিং সঙ্গী ড্যারেল মিচেল এক রানের জন্য ফিফটি পাননি। ৪ চার ও ৩ ছয়ে ৩৫ বলে সাজানো ৪৯ রানের ইনিংস তার।
বাকি কাজটা সেরে আসেন কেন উইলিয়ামসন। অধিনায়ক অপরাজিত থাকেন ৩১ বলে ৩৩ রানে, সঙ্গী ২ রানে অপরাজিত ডেভন কনওয়ে।
এই গ্রুপের দিনের প্রথম ম্যাচে, আফগানিস্তান ৬২ রানের বড় ব্যবধানে হারিয়েছে নামিবিয়াকে। শুরুতে ব্যাট করে ৫ উইকেটে ১৬০ রান জমায় মোহাম্মদ নবির দল। পরে ২০ ওভারে ৯ উইকেটে কেবল ৯৮ পর্যন্ত যেতে দেয় নামিবিয়ানদের।