আন্তর্জাতিক নারী দিবসে হওয়া নারী টি-টুয়েন্টি বিশ্বকাপের ফাইনালে ভারতকে ৮৫ রানে হারিয়ে শিরোপা ধরে রাখল অস্ট্রেলিয়া। টানা দুবার ও সবমিলিয়ে সাত আসরের মধ্যে পাঁচবারই ট্রফির হাসিতে মাতল অজিরা।
২০০৯ সালে উদ্বোধনী আসরে শিরোপা জিতেছিল ইংল্যান্ড। পরে টানা তিনবার ট্রফি নিয়ে যায় অস্ট্রেলিয়া। পঞ্চম আসরে ২০১৬ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের শিরোপা হাসির পর ২০১৮ সালে আবারও অজি মেয়েরা হাসে। ২০২০ সালে টানা দ্বিতীয় ও সবমিলিয়ে পঞ্চমবার দেখা মিলল হলুদ জার্সিধারী অজিদের উল্লাসের।
রোববার ঘরের মাঠে ভারতকে কঠিন পরীক্ষায় ফেলে অস্ট্রেলিয়া। প্রথম শিরোপার খোঁজে থাকা হারমানপ্রিত কৌরের দলকে ১৮৫ রানের বিশাল লক্ষ্য দিয়ে প্রথম ইনিংসেই লাগাম নিয়ে নেয় মেগ ল্যানিংয়ের দল।
মেলবোর্নে শিরোপার মঞ্চে শুরুতে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ওভারে ৪ উইকেটে ১৮৪ রান তোলে অস্ট্রেলিয়া। জবাব দিতে নেমে ৫ বল হাতে রেখে গুটিয়ে যাওয়ার সময় ভারত যেতে পারে ৯৯ পর্যন্ত।
আসরের উদ্বোধনী ম্যাচে ভারতের কাছে বিধ্বস্ত এক হারে শুরু করা অস্ট্রেলিয়া এদিন শুরু থেকেই স্বরূপে। উদ্বোধনীতে অ্যালিসা হিলি ও বেথ মোনি লাগাম টেনে নেন। দুজনে ৭০ বলে ১১৫ রান যোগ করেন।
অজি ছেলেদের দলের তারকা পেসার মিচেল স্টার্কের স্ত্রী উইকেটকিপার-ব্যাটার হিলি ছিলেন বিধ্বংসী। ৩৯ বলে ৭৫ রানের ইনিংস উপহার দেন। সঙ্গে টি-টুয়েন্টিতে দুই হাজার রানের ক্লাবে নাম লেখান। ৭ চার ও ৫ ছক্কায় সাজানো ইনিংস তার।
আরেক ওপেনার মোনিকে আউট করতে পারেনি ভারতীয় বোলাররা। ওয়ানডাউনে অধিনায়ক ল্যানিংকে নিয়ে আরও ৩৯ যোগ করেন মোনি। ল্যানিং ফিরে যান ১৬ রানে। পরে গার্ডনার ২ ও হেইনেস ৪ রানে আউট হলেও বড় সংগ্রহ পেতে সমস্যা হয়নি স্বাগতিকদের।
একপ্রান্ত আগলে রাখা মোনি অপরাজিত ৭৮ রানের ইনিংস যে খেলে দেন। ১০ চারে ৫৪ বলে সাজানো ইনিংস তার।
দীপ্তি শর্মা ৪ ওভারে ৩৮ রানে ২টি, পুনম ও রাধা নেন একটি করে উইকেট।
লক্ষ্য তাড়ায় এসে নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারানো ভারতের মাত্র চার ব্যাটার দুঅঙ্কের দেখা পেয়েছেন। সর্বোচ্চ ৩৩ আসে দীপ্তি শর্মার ব্যাটে। বিদ্যা কৃষ্ণমূর্তি ১৯, রিচা ঘোষ ১৮ ও স্মৃতি মান্দানা ১১ রানে ফেরেন।
বিশ্বজয়ীদের পেসার মেগান স্কট ৩.১ ওভারে ১৮ রানে ৪ উইকেট নিয়ে সেরা। বাঁহাতি স্পিনার জেস জোনাস্সেন ২০ রানে ৩টি নিয়ে তাকে যোগ্য সঙ্গ দেন। একটি করে উইকেট গেছে মলিনিউক্স, ডেলিসা ও ক্যারির ঝুলিতে।