গুলশানে রেস্টুরেন্টে জঙ্গি হামলার পর পুরো রাজধানী জুড়েই নেয়া হয়েছে নানা ধরণের নিরাপত্তা ব্যবস্থা। জনগণের নিরাপত্তার জন্য ব্যবস্থা নেয়া হলেও এতে ভোগান্তির স্বীকারও হচ্ছে জনগণই। এ নিয়ে অভিযোগ অনেকের।
নাগরিক জীবনের এই ভোগান্তি নিয়ে ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস পোস্ট করেছেন ‘মানুষের জন্য ফাউন্ডেশন’-এর সমন্বয়ক শাহানা হুদা। স্ট্যাটাসে তিনি লিখেছেন:
‘আজ সকাল ৮.৩০ মিনিট। মুষলধারে বৃষ্টি হচ্ছে। বনানী ১১ নম্বর সড়ক।
রিকশাযাত্রী মেয়েটি পুলিশের কাছে জানতে চাইলো, কেন রিকশা থেকে আমাদের নামিয়ে দিচ্ছেন? আমরা কি এখন ভিজতে ভিজতে অফিস যাবো? আমার কাছে তো ছাতাও নাই। দ্যাখেন ঐ বাচ্চাগুলোও ভিজতে ভিজতে যাচ্ছে। ওদেরও নামিয়ে দিলেন, কেন?
পুলিশ, ‘সবাইকে মানে আপনাকে নামতেই হবে। কেন নামতে হবে জানি না। এটাই আইন।’
মেয়েটি, ‘দেখছেন না আমাদের কত অসুবিধা হচ্ছে? আর আইন হলে সবার জন্য হবে, শুধু রিকশাযাত্রীদের জন্য কেন?’
পুলিশ, ‘তাতো জানি না। উপর থেকে বলছে। আমরা ফলো করি। আপত্তি থাকলে উপরে বলেন।’
গুলশানে জঙ্গী হামলার পর থেকে সারা শহরে নিরাপত্তা কঠোর করা হয়েছে বলে শুনছি। এরই অংশ হিসাবে বনানী ১১ নং সড়কের মাথায়, মানে দক্ষিণের নগরপিতার (উত্তরে বসবাসরত) বাসভবনের ঠিক সামনেই পুলিশের একটি নিরাপত্তা চৌকি বসানো হয়েছে। কী এক অজ্ঞাত কারণে এখানে রোষানলে পড়েছে শুধু রিকশারোহীরা। গাড়ি, সিএনজি, এমনকি মটরসাইকেল সবাই হনহনিয়ে চলে যাচ্ছে কিন্তু রিকশা থামিয়ে যাত্রীদের নামিয়ে দিচ্ছে পুলিশ।
এ নিয়ে যাত্রীদের সাথে পুলিশের হৈ চৈ হলেও যাত্রীরা নিরুপায় এবং নামতে বাধ্য হচ্ছে। ওখানে রিকশা থামানোতে ব্রীজটির দু’পাশে রিকশা স্ট্যান্ড হয়ে গেছে, যানজট বেড়েছে, যাত্রীদের হয়রানি বেড়েছে ১০০ ভাগ।
আজ সকালে বৃষ্টি হচ্ছিল। আমার অনেক কলিগকে একদম কাকভেজা হয়ে অফিসে আসতে হল। নিশ্চয় অন্য যাত্রীরাও ভিজেছে। কারণ রিকশা ঢুকতে দিচ্ছেনা পুলিশ ।কিন্তু তাই বলে যে ব্রীজের এপারে রিকশা চলছেনা, তা নয়, চলছে। অনেকটা বেনাপোল – হরিদাসপুর সীমান্ত এলাকা স্টাইল।’