ঘরের মাঠে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে দাপুটে জয়ের পর বিদেশের মাটিতে চারটি টেস্ট খেলেছে বাংলাদেশ। নিউজিল্যান্ডে দুটি, ভারত ও শ্রীলঙ্কায় একটি করে ম্যাচ খেলেছে মুশফিকুর রহিমের দল। চারটিতেই বড় ব্যবধানে হার সঙ্গী হয়েছে তাদের। ম্যাচের তৃতীয় দিন এমনকি চতুর্থ দিন পর্যন্ত সমানতালে লড়াইয়ের পরও শেষ দিনের ব্যাটিং ব্যর্থতায় হারতে হয়েছে টাইগারদের। সামর্থ্য অনুযায়ী খেলতে পারলে অন্তত দুটি ম্যাচ ড্র করা যেত।
সবশেষ শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে গল টেস্টে ড্রয়ের সহজ সমীকরণ মেলাতে পারেনি বাংলাদেশ। হাতে ১০ উইকেট নিয়ে শেষ দিনে দুই সেশনও ব্যাট করতে পারেননি তামিম-সাকিবরা। ব্যাটসম্যানদের এমন ব্যর্থতায় হতাশ বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন।
সোমবার ধানমন্ডির বেক্সিমকো কার্যালয়ে তিনি সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘তিনটা টেস্ট ড্র করতে পারতাম আমরা। একদিন আমরা ব্যাটিং করতে পারবো না শ্রীলঙ্কান ফ্ল্যাট উইকেটে! এর আগে আমরা নিউজিল্যান্ডে ভালো খেলেছি। ভারতের স্পিন খেলে এসেছি। শ্রীলঙ্কায় খেলতেই পারছি না। এটা হওয়ার কথা না। কিছু সমস্যা রয়েছে। এটাকে আমাদের অ্যাড্রেস করতে হবে। চুপ করে বসে থাকলে হবে না।’
বিসিবি সভাপতি আভাস দিলেন এমন ব্যর্থতার কারণেই ভবিষ্যতে টেস্ট দলে বড় ধরণের পরিবর্তনের। দলে ওলট-পালট করতে চাওয়ার পেছনে পাপনের যুক্তি, ‘হঠাৎ একটা ম্যাচ ভালো খেললো বা কেউ ব্যক্তিগত পারফর্ম করলো এটা নিয়ে খুশি থেকে লাভ নেই। আমাদের তো দল আর দেশের কথা ভাবতে হবে। আমরা কিছু সিদ্ধান্ত নেব। তাতে ঝুঁকিও থাকবে। আমরা একটা পরিবর্তন করলাম বা সিদ্ধান্ত নিলাম ওটাই যে সবসময় সঠিক হবে সেটাও কিন্তু নয়। তবে আমাদের চুপচাপ বসে থাকারও উপায় নেই।’
টানা হারের প্রসঙ্গ টেনে পরিবর্তনের পক্ষে পাপনের যুক্তি, ‘আমাদের কিছু করা উচিত, সেটাই এখন চিন্তা করছি। যখন একটা টিম ভালো করে তখন কিন্তু অনেক কিছু ইচ্ছা থাকলেও করতে পারবো না। কতগুলো সময় থাকে যখন পরিবর্তন-পরিবর্ধন করতে হয় বাস্তবতা জানার জন্য, ঝুঁকি নিতে হয়। এখন একটা সময় আছে যেহেতু টেস্ট আমরা ভালো করছি না। পারফরম্যান্স করতে পারছি না। চারটা টেস্ট হারলাম। যার তিনটা টেস্ট ড্র করা যেত। যে বল মারার নয় সে বল মারতে গিয়েও আমরা আউট হচ্ছি।’